শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

কুরিয়ার সার্ভিসে টাকা পাঠানো যাবে না: হাইকোর্ট

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ‘ভ্যালু ডিক্লেয়ার্ড’ বা অন্য কোনো নামে নগদ অর্থ আদান-প্রদান করা যাবে না।

দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নগদ অর্থ প্রেরণ বন্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর রিট মামলা খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রায়ের ফলে কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ টাকা স্থানান্তর করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।

বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি খসরুজ্জামানের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার ২০০৪ সালে জারি করা এ-সংক্রান্ত রুলটি খারিজ করে রায় দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সভার সিদ্ধান্তকে উদ্ধৃত করে ২০০৪ সালের ৭ এপ্রিল কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কোনো কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত করবে। একই সঙ্গে ডাক বিভাগ ও ব্যাংকের ন্যায় গ্রাহকদের নগদ অর্থ ‘ভ্যালু ডিক্লেয়ার্ড’ বা অন্য কোনো নামে আদান-প্রদান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে ২০০৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনকে নোটিস দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

নোটিসে বলা হয়, কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন নগদ অর্থ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণের মাধ্যমে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। পোস্ট অফিস অ্যাক্টের ৪ ধারামতে পোস্ট অফিস ব্যতীত কুরিয়ার সার্ভিস এটি করতে পারে না। এ অবস্থায় কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনকে দেয়া টিও লাইসেন্স বাতিল কেন করা হবে না— তা জানাতে চেয়ে ১০ দিনের সময় দেয়া হয় নোটিসে।

এ অবস্থায় নোটিস ও নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৪ সালেই সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, এক্সেলসিঅর এক্সপ্রেস ও কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করে। বাণিজ্য সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন ডিপার্টমেন্ট) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিবকে বিবাদী করা হয় এতে।

রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালে ওই চিঠি দুটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— এ মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নোটিস ও নির্দেশনা স্থগিত করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর পর গত মঙ্গলবার সে রুল খারিজ করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।

রিটকারীদের আইনজীবী শাহ মুহাম্মদ ইজাজ রহমান বলেন, আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া নোটিস ও নির্দেশনার কার্যকারিতার ওপর ২০০৪ সাল থেকে হাইকোর্টের যে স্থগিতাদেশ ছিল, তা আর থাকল না। তবে রায় দেখার পর সবকিছু বোঝা যাবে।

কুরিয়ার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান পুলক এব্যাপারে বলেন, ‘বহু দিনের চেষ্টায় জনসাধারণ তথা গ্রাহকদের মধ্যে একটা বিশ্বস্ততার জায়গা তৈরি করেছে কুরিয়ার সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। দেশের প্রতিটি উপজেলায় বিস্তৃত এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষ কর্মক্ষেত্র থেকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বা প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্থানে অর্থ পাঠান বিশ্বস্ততার সঙ্গে।’

তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে এখন ই-কমার্সের যুগ। আমরা কন্ডিশনিং ট্রান্সফার করি। এতে একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য প্রান্তে অর্ডারকৃত নির্দিষ্ট পণ্যটি পৌঁছে দেয়া হয়। বর্তমানে এ সেবা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। অর্থ আদান-প্রদান বন্ধ হলে বিশ্বস্ততা, কর্মসংস্থান সর্বোপরি জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনসাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।’

রিট আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়, বিবাদীরা ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্সের অধীন সনদ দানকারী কর্তৃপক্ষ। অর্থ বহন ও স্থানান্তর-বিষয়ক নয়। দেশের অভ্যন্তরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অর্থ স্থানান্তর বা বহনের বিষয়ে কোনো আইনেই বলা হয়নি। পোস্ট অফিস আইন ও অর্থ পাচার আইনে শুধু অবৈধ স্থানান্তরের বিষয়ে বলা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com