বাংলা৭১নিউজ, কুমিল্লা: কুমিল্লায় খোরশেদ আলম নামে এক প্রবাসীকে হত্যার পর লাশ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার সকালে জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রাখা ওই প্রবাসীর লাশের অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। নিহত প্রবাসী খোরশেদ আলম (৫৫) ছুপুয়া গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ছুপুয়া গ্রামের প্রবাস ফেরত খোরশেদ আলম পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার দুপুরে ওই প্রবাসীর কন্যা মুরশিদা বেগম তার বাবা নিখোঁজ দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে স্থানীয়রা প্রবাসী খোরশেদ আলমের মৃতদেহের অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকতারুজ্জামানের উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে প্রবাসীর লাশ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। নাঙ্গলকোট থানার ওসি আইয়ুব জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহতের স্ত্রীসহ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শিগগিরই এ হত্যার প্রকৃত কারণ ও রহস্য উদঘাটন হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস