বাংলা৭১নিউজ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে কুকুরের
কামড়ে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশুসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত দুইজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের তিন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেনÑছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের নয়াভাংগুনি গ্রামের অনিমা (৫), তোফাজ্জেল আকন (৬৫), মনির (৩৫), আনিচ সরদার (৪৫), ছোটবাইশদিয়া গ্রামের জাকির শিকদার (২৫), যুবরাজ দফাদার (১৪), রানা মৃধা (২০), আঃ কাসেম (৭০), হুমায়েজা (৭), অন্তঃসত্ত্বা রাশেদা বেগম (২৬), মোঃ তরিকুল ইসলাম (১৬) ও কোড়ালিয়া গ্রামের আরবী আক্তার (৬)। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত অন্তঃসত্ত্বা রাশেদা বেগমকে লালমোহন ও তোফাজ্জেল আকনকে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়, তিনদিনের ব্যবধানে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ওই তিন গ্রামের ১২ জন আহত হন। এতে ওইসব গ্রামসহ আশপাশ এলাকার মানুষের মধ্যে কুকুরে কামড়ানোর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোটবাইশদিয়া গ্রামের মনজু হাওলাদার বলেন, ‘এলাকায় বেওয়ারিশ ‘পাগলা’ কুকুড়ের অনেক উৎপাত। কয়েকদিনে বাড়ি ও রাস্তাঘাটে অনেক মানুষ কামড়েছে। তাই এখন অনেকেই কুকুরে কামড়ানোর আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’ ওই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আল আমিন হিরণ বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই। এমনকি ভ্যাকসিনও নেই। তাই কুকুরে কামড়ানো রোগী পার্শ্ববর্তী উপজেলায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগের পাশাপাশি রোগীর অনেক সমস্যা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের এখানে ভ্যাকসিন নেই। কুকুরে কামড়ানো রোগী আসলে পার্শ্ববর্তী
উপজেলায় রেফার করি।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস