রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চুরির মামলা তদন্তে মিললো অবৈধ অস্ত্রের সন্ধান লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমতি পেলো যমুনা ব্যাংক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করে পুরস্কার পাচ্ছেন যারা বিকাশে টেন মিনিট স্কুলের ফি পেমেন্টে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক দফায় দফায় কমছে সোনার দাম, এবার কমলো ৩১৫ টাকা নৌ পুলিশের অভিযানে অবৈধ জাল ও মাছের পোনাসহ আটক ৫১ সোমবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী ১৫০০ কোটির মাইলফলক ছুঁলো পদ্মা সেতুর টোল আদায় বাংলাদেশকে ১৪৬ রানের টার্গেট দিলো ভারত শ্রমিকদের জন্য কর্মবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে : স্পিকার প্রাথমিকের শূন্য পদে নিয়োগে পদক্ষেপ নিতে বলল সংসদীয় কমিটি নেত্রীর জন্য জান দেওয়া নয়, সিদ্ধান্ত মানার আহ্বান : দীপু মনি দাবদাহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু, আমদানি নয় বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে এসেছে টর্পেডো সদৃশ বস্তু এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯-১১ মের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল ব্যবসা করলে চলবে না : শিল্পমন্ত্রী আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয় : আইনমন্ত্রী কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বিনামূল্যে ছাতা-খাবার স্যালাইন পাচ্ছেন ৩৫ হাজার রিকশাচালক

কী সেই কৃষ্ণ হরিণ যার জন্য সালমান খানের এই দুর্ভোগ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে
মৌসুম বদলের সাথে রং বদলায় চিংকার হরিণ

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের আদালতে যখন সালমান খানের সাজা হয়, আদালতের বাইরে সেসময় উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছে একদল মানুষ। ওরা রাজস্থানের ‘বিশনয়’ সম্প্রদায়ের।
১৯৯৮ সালের অক্টোবরে এই সম্প্রদায়ের মানুষই সালমান খানসহ একটি শুটিং ইউনিটের আরো কজনের বিরুদ্ধে দুটি কৃষ্ণ হরিণ – যা চিংকার নামেও পরিচিত – হত্যার অভিযোগে মামলা করে।
চিংকার হরিণ ভারতে সংরক্ষিত প্রাণীর তালিকায়। সে কারণে, সাথে সাথেই সালমানকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যদিও ১০ দিন পর তিনি জামিনে ছাড়া পান।
২০ বছর পর বৃহস্পতিবার সেই মামলায় তার পাঁচ বছর সাজা হলো।
এর মাঝে ফুটপাতে গাড়ি উঠিয়ে মানুষ হত্যার মামলায় তিনি রেহাই পেয়েছেন। কিন্তু দুটি হরিণ শিকারের মামলা তাকে ছাড়েনি।
প্রধান কারণ বিশনয় সম্প্রদায় এই মামলার পেছনে ক্রমাগত লেগে ছিল।
ভগবান বিষ্ণুর পূজারি বিশনয় সম্প্রদায় কয়েকশ বছর ধরে ২৯টি রীতি অক্ষরে অক্ষরে মানার চেষ্টা করে। আর সেই সব রীতির মোদ্দা কথা – প্রকৃতির সুরক্ষা, বৃক্ষ রক্ষা, জঙ্গলের প্রাণী রক্ষা।
বিশেষ করে চিংকার হরিণকে বিশনয় সম্প্রদায় পবিত্র হিসাবে গণ্য করে। এই হরিণকে তারা বলতে গেলে পুজো করে।
প্রাচীন হিন্দু পুরানের এই কৃষ্ণ হরিণের উল্লেখ রয়েছে যে এরা ভগবান কৃষ্ণের রথ টানতো। চিংকারকে মানা হয় বাতাস এবং চাঁদের বাহন হিসাবেও।
বিশ্বাস এবং ভক্তির কারণেই প্রভাবশালী বিশনয় সম্প্রদায় ২০ বছরেও এই মামলা নিয়ে হাল ছাড়েনি। সাথে ছিল প্রাণী ও পরিবেশ সংরক্ষণের আন্দোলনকারীদের সাহায্য।
কোথায় মেলে এই কৃষ্ণ হরিণ?
সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকলেও ভারত, পাকিস্তান এবং নেপালে এই হরিণ দেখা যায়।
ভারতের রাজস্থান এবং গুজরাটের মরু এলাকায় এগুলো চেখে পড়ে বেশি।
পুরুষ চিংকারের ওজন বড় জোর ৪৫ কেজি। উচ্চতা ৭৪-৮৮ সেমি। মাদি চিংকার অপেক্ষাকৃত ছোট।
বর্ণচোরা হরিণ
চিংকারের প্রধান বৈশিষ্ট এটি রং বদলায়। বর্ষার শেষে পুরুষ চিংকারের রং থাকে কালো। কিন্তু শীতের সাথে সাথে রং হালকা হতে হতে এপ্রিল নাগাদ বাদামি হয়ে যায়।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আরাফ তাহসিন বিবিসিকে বলের এমনকী ব্রিটিশদের সময়ে উদয়পুরে ঝাঁকে ঝাঁকে চিংকার দেখ যেত, কিন্তু এখন সেই দৃশ্য বিরল।
“এরা ঘন জঙ্গলের প্রাণী নয়, সমতলে খোলা জায়গা এদের পছন্দ। যেহেতু এ ধরণের জায়গা দ্রুত মানুষের দখলে চলে যাচ্ছে, ফলে এরা বিপদে পড়েছে”।
দুশ বছর আগে যেখানে ভারতে এই হরিণের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের মত, ২০১০ সালে সেটি নেমে আসে মাত্র ৫০হাজারে । ফলে, চিংকার শিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com