বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশের কক্সবাজার উপকূলের মহেশখালী ও কুতবদিয়া দ্বীপের কয়েকটি দস্যু বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য শনিবার আত্মসমর্পণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে।
এই দস্যুদের আত্মসমর্পণের প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকীম।
মহেশখালীর আগে সুন্দরবনের বেশ কয়েকটি দস্যুদলকেও তাঁর মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন মি. হাকীম।
কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে চলতে থাকা এই দস্যুদের আত্মসমর্পণে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করলেন মি. হাকীম? কী শর্তে আত্মসমর্পণ করলো এই দস্যুরা?
মি. মোহসীন-উল-হাকীম বলেন, “এই আত্মসমর্পণ হয়েছে কোন শর্ত ছাড়া।” মি. হাকীম জানান, “একটি কথা বলেই মূলত দস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে রাজি করানো হয়েছে – সেটি হলো, তারা ঘরে ফিরতে পারবে।”
দস্যুদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোর আইনি কার্যক্রম তারা বাড়িতে থেকে সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানান মোহসীন-উল-হাকীম।”পাশাপাশি সুন্দরবনের দস্যুরা আত্মসমর্পণ করার পর সাধারণ জীবনে ফিরে আসার যে উদাহরণটি তারা দেখেছে গত ৩-৪ বছরে, তা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে”, বলেন মি. হাকীম।
বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দস্যু-বাহিনী গত কয়েকবছরে সাংবাদিক মোহসীন-উল-হাকীমের মধ্যস্থতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
মি. হাকীম জানান, আত্মসমর্পণ করার পর সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করা হবে।”আত্মসমর্পণ করা দস্যুদের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়া দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতাও করা হবে।”
এছাড়াও মি.হাকীম জানান প্রধানমন্ত্রী নিজের তহবিল থেকে প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন এবং দস্যুদের স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে।
মহেশখালি অঞ্চলে আগামী কয়েকবছরের মধ্যে সরকারে বড় ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে।
মি. হাকীম জানান, সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সরকারও ঐ এলাকাকে দস্যুমুক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং দস্যুরাও ঐ অঞ্চলে দস্যুবৃত্তি ত্যাগ করার কথা চিন্তা করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা/ বিএস