শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

কী কারণে আমেরিকার সিকিউরিটি অ্যালার্ট, খোঁজ নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঝড়ঝাপটা ও নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই আমেরিকা একটি সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। ঠিক কী কারণে এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, সেটি আমাদের জানা নেই। তাই অ্যালার্ট জারির আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি, কেন এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট।

আজ শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে আগুন লাগার কারণেই কি এই অ্যালার্ট? আমেরিকা-লন্ডনেও তো আগুন লেগে অনেক মানুষ মারা যায়, সেসব দেশে তো আমাদের মতো এত সময় দিয়ে উদ্ধার অভিযানও চালানো হয় না। তাহলে কেন এই অ্যালার্ট, সেটিও জানানো উচিত। তিনি বলেন, কারণ সন্ত্রাসবাদের সমস্যা সারা বিশ্বেরই। একটি ঘটনা ঘটলে তার প্রভাবও সারা বিশ্বে পড়ে। তাই আমেরিকার কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স ও প্রশাসন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছি।

আগুনের সময় উৎসুক জনতার ভিড়ের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক অহেতুক ভিড় করে। এদের কারণে ফায়ার সার্ভিস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এরা দাঁড়িয়ে থেকে সেলফি তোলে। এখানে সেলফি তোলার কী আছে বুঝলাম না। সেলফি না তুলে তারা কয়েক বালতি পানি আনলেই পারে। তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে বহুতল ভবনে আগুন লেগেছে। বেশ কিছু লোক হতাহত হয়েছেন। যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। কিছুদিন পরপরই আগুন। যদিও ছোটবেলা থেকে আমরা জানি চৈত্র-বৈশাখ মাসে আগুন লাগার প্রবণতা বেশি। একটা কথা বলব, উত্তেজিত লোক ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও ভেঙে দিয়েছে। একটি গাড়ি কিনতে ৯-১০ কোটি টাকা খরচ পড়ে। দেরি হচ্ছে কেন, সে জন্য ফায়ার সার্ভিসের লোকদের মেরেছে। সেটা না করে এক বালতি পানি এনে নেভানোর চেষ্টা করত, তাহলে ভালো কাজ করত।

আগুনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনায় মিডিয়ারও ভূমিকা আছে। মিডিয়া যখন সরাসরি সম্প্রচার করে, তখন মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। ভিড় বাড়ে। এ কারণে মিডিয়াকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকারকে দোষারোপ না করে সাধারণ মানুষকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, নিজের কাজটা অন্তত করতে হবে।

বিএনপির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল যে আমরা আওয়ামী লীগের অফিসেও যেতে পারতাম না। নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। নেতা-কর্মীরা কেউ বাসায় থাকতে পারতেন না। আমাদের এমপিদের, নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হাড় গুঁড়ো করে দেওয়া হয়েছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। সরকারের বাইরে বিএনপির সব অপকর্মের মূল ছিল হাওয়া ভবন।

নিজ দলের কর্মী হারানোর কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনে বাড়িঘরে থাকতে পারেননি নেতা-কর্মীরা। এমনকি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের নগদ টাকাসহ অনেক সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল বিএনপি। মিথ্যা মামলায় আমাদের জর্জরিত করতে চেয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যক্রমের কোনো সুযোগই ছিল না। কিন্তু আমরা বিএনপির নামে কোনো মিথ্যা মামলা দিচ্ছি না। খালেদা জিয়ার মামলা আমরা করিনি। এতিমের টাকা খেয়ে পার পেয়ে যেতে পারেননি, তাঁদেরই লোকের দেওয়া মামলায় তিনি জেলে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য দেন। ঢাকা, ০৫ এপ্রিল। ছবি: পিআইডিপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য দেন। ঢাকা, ০৫ এপ্রিল। ছবি: পিআইডি

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন কৌশলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা যে ব্যাপক দুর্নীতি করে অগাধ সম্পদের মালিক, সেটা এখনো বোঝা যায়। নির্বাচনের সময় আমরা তাদের দুর্নীতির চিত্র দেখেছি। একেকটা সিটের পেছনে যে টাকা, তাদের যে নমিনেশন-বাণিজ্য। যাদের নমিনেশন দিলে জিতত, তাদের না দিয়ে যারা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছে তাদেরই নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে বিএনপির ন্যূনতম আগ্রহ দেখা যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে, তারা জিততে পারেনি। ওদিকে লন্ডন থেকে ওহি নাজিল হয়। তারা জানে যে জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। যে কারণে নির্বাচনের নামে বাণিজ্য করা তারা মুখ্য মনে করেছিল, সেটাই তারা করে গেছে। জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা আবার সরকার গঠন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল। দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এদের অপকর্মে দেশটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছিল। শান্তিতে চলাফেরা করতে পারত না মানুষ। চুরি-ডাকাতি বা সন্ত্রাসবাদ এমনকি মাদকের বিস্তার ছিল দেশে। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি ছিল মানুষের। যে কারণে দেশের মানুষ তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তাদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হলে দেশ লুট করে খাবে, এটা বুঝতে পেরেছে জনগণ। তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের পরিচালনায় দেশে শান্তি ফিরেছে। মানুষ নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। ক্রমবর্ধমান উন্নয়নশীল দেশের শীর্ষ পাঁচে থেকে আমরা কথা বলছি। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এখন। প্রবৃদ্ধিতে অনেক দেশ ছাড়িয়ে গেছি। ভবিষ্যতে ৮-এর বেশি প্রবৃদ্ধি হবে আমাদের। সেভাবেই আমরা পরিচালনা করছি।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যেই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ২০৪১ সালে এ দেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আর ২০৭১ সালে আমরা হয়তো থাকব না, কিন্তু যাঁরা থাকবেন, একটি আধুনিক দেশের নাগরিক হিসেবে তাঁরা স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবেন। আর ২১০০ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও আমরা ডেলটা প্ল্যান করে দিয়েছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির জনক বলেছিলেন, ‘কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবা না’। বাংলাদেশকে কেউ আর দাবিয়ে রাখতে পারবেও না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শুরু হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com