বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সম্পদ জব্দ করতে এবং দেশটির বিরুদ্ধে তেল অবরোধ আরোপ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ ও সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর দেশটির ওপর আরো চাপ প্রয়োগ করতে এই ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি খসড়া প্রস্তাবে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই খসড়ায় উত্তর কোরিয়ার তৈরী পোশাক রপ্তানি নিষিদ্ধ করতে এবং বিদেশ থেকে তাদের কর্মীদের জন্য অর্থ পাঠানো বন্ধ করতে প্রস্তাব আনা হয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির ওপর অধিকতর চাপ সৃষ্টি করা যাবে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার দুই দিন পর এই খসড়া সামনে এল। সোমবার তিনি বলেছিলেন, ১১ সেপ্টেম্বর নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছিলেন, এটি হবে খুবই অপরিপক্ক।
প্রস্তাবিত খসড়ায় উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি চাপ সৃষ্টি করতে কিম জং-উন ও ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যদের এবং উত্তর কোরীয় সরকারের সম্পদ জব্দ করার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়ায় বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কিম জং-উনকে জাতিসংঘের কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে। এর ফলে তার বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ হবে। একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা উত্তর কোরিয়ার আরো চার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপ করা হতে পারে।
তবে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত খসড়ার পক্ষে রাশিয়া ও চীন কতটা সাড়া দেয়, তার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। এ প্রস্তাবের বিরোধিতাও করতে পারে তারা। বিশেষ করে তেলের ওপর অবরোধ আরোপের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে চীন। উত্তর কোরিয়ার তেলের চাহিদা পূরণ করে চীন এবং এ থেকে তাদের মোটা অঙ্কের আয় আসে। ফলে দেশটির কাছে তেল বিক্রির বিরুদ্ধে অবরোধ চায় না চীন।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস