বাংলা৭১নিউজ,গাজীপুর : মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করতে কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের পর এবার কাশিমপুর কারাগারে ঢুকেছেন জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুুলিশ সুপারও।
ভেতরে এখন দণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তবে ফাঁসি ঠিক কয়টায় কার্যকর হবে সে বিষয়ে কিছু নিশ্চিত করছেন না তারা।
সকাল থেকেই শাহজাহান ভুঁইয়াসহ চার জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়। ফাঁসির মহড়াও দেয়া হয় সকালে। দুপুরে মীর কাসেমের স্বজনরা শেষ সাক্ষাৎ করে যাওয়ার পর দণ্ড কার্যকরের বিষয়ে আর কোনো সন্দেহই ছিল না।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে কারা মহাপরিদর্শক কারাগারের ভেতরে ঢুকার পর সোয়া নয়টার দিকে ভেতরে যান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এস এম আলম, সিভিল সার্জন, হায়দার আলী খান ও পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।
এ সময় পুুলিশ সুপার বলেন, ফাঁসিকে কেন্দ্র করে তারা নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি দেখছেন না। তারপরও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মীর কাসেম আলীকে কারা মসজিদের ইমাম পেশ ইমাম হেলাল উদ্দিনের তওবা পড়ানোর কথা আছে। তিনিও কারাগারের ভেতরে আছেন বলে কারা সূত্রগুলো জানিয়েছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ষষ্ঠ ফাঁসি কার্যকর হতে পারে, এই খবরে সকাল থেকেই দেশের প্রধান প্রায় সব কটি গণমাধ্যমের কর্মীরা কাশিমপুর কারাগারের সামনে অবস্থান নেন। সকাল থেকে যত সময় যাচ্ছিল তত বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এর মধ্যে দুপুরের পর নিশ্চিত হয়ে যায় আজই কার্যকর হচ্ছে মীর কাসেমের ফাঁসি। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক দুপুরের পর পর ফাসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ নিয়ে পৌঁছেন কাশিমপুর কারাগারে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস