বাংলা৭১নিউজ, প্রতিনিধি: মোঃ হুমায়ুন কবির, ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধি: কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এক ঘন্টার ঝড়ে ৩টি চাতালকলসহ অর্ধ শতাধীক বাড়ীঘর বিব্ধস্ত হয়েছে। উপরে ফেলেছে শতাধীক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে এক রাজনৈতিক নেতার তোরণ ধ্বসে পড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা বন্ধ ছিল যান চলাচল। তখন মহাসড়কে সৃস্টি হয় তীব্র যানজট।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শি সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার ভোর ৪টায় কাল বৈশাখি ঝড়ের তান্ডবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে উপজেলার দূর্গাপুর,তাজপুর ও খড়িয়ালা গ্রামের ৩টি চাতালকল,একটি তুলার গুদামসহ অর্ধ শতাধীক আধাপাকা ও টিনসেড ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এসব ঘরের চালা উড়ে গেছে এবং মালামাল দুমড়েমুচড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বর্তমানে এই অর্ধ শতাধীক পরিবার খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ২ শতাধীক বনজ ও ফলদ গাছ ভেঙ্গে উপড়ে পরে ব্যাপক ক্ষতি হয়ছে।
এদিকে উপজেলার রেলগেইট এলাকায় একটি রাজনৈতিক তোরণ ভেঙ্গে সড়কের উপর পড়ে যায়।এতে প্রায় ১ ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে যান চলাচল স্বাভাবীক করে।
এব্যাপারে দুর্গাপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া জানান,কিভাবে বেচে আছি বলতে পারব না।কারণ আমার বাড়ির প্রায় দেড়শ ফুট উচু দুটি গাছ হয়ে বিকট শব্দ উপড়ে পড়ে তিনটি বসত ঘরসহ ৪টি ঘরের দুমড়েমুচড়ে যায়।এতে ঘরের কিছুই ব্যবহার করারমত উপযুক্ত রাখেনি।
খড়িয়ালা গ্রামের মদিনা বেডিং স্টোরের মালিক তৌফিক হোসেন বলেন,আমার গৌডাউনের শতকরা ৭০ভাগ তুলা ঝড়ে উড়ে গেছে।কোথায় গেছে খুজে পাচ্ছি না। আমি এসব মালামাল ব্যংক থেকে ঋণ নিয়ে কিনে এনে ছিলাম।আমার পথে বসা ছাড়া কোন উপায় নাই।একই কথা বলেন,অন্যন্য ক্ষতিগ্রস্তরা।তারা এব্যাপারে প্রশাসন তথা সরকারের দ্রত সহযোগিতার দাবী জানান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, সরেজমিনে দেখে মনে হচ্ছে ভয়াবহ ঘুর্নিঝড় হয়েছে।একটি মসজিদসহ ১৮টি পরিবার বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে।ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস