বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

কালের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে ৩শ’ বছরের ইন্দারা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মাহবুব রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কালের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে ৩০০ বছরের পুরনো ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা গ্রামের মানিক মিয়ার ইন্দারা। আধুনিকতার যুগে ইন্দারার প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে টিকে আছে ৩০০বছরের পুরোনো ইন্দারাটি। মানিক মিয়ার বংশধর এর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক উত্তরসুরী মো: আহাদ আলী (৮০) বলেন, মানিক মিয়ার বংশধরদের মধ্যে তাদের তিন ভাই (মফিজ উদ্দিন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, আহাদ আলী) এর বংশধরাই কেবল বেঁচে আছেন। তাদের তিন ভাইয়ের পিতা নৈমুদ্দিন সরকার, তার পিতা- ধনাই, তার পিতা- মনাই, তার পিতা-মানিক, তার পিতা- ঘাউয়া। পারিবারিক দলিল থেকে জানা যায় মনাই পেশায় জোরদার ছিলেন। মনাই’র পিতা- মানিক এলাকাবাসীর পনির কষ্ট নিবারনের জন্য ইন্দারাটি নির্মাণ করেন। একসময় গ্রামের সকলেই এই ইন্দারা থেকে পানি তুলে ব্যবহার করত।

বর্তমানে সংস্কারের অভাবে ইন্দারাটি ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে গেছে। সন তারিখের উল্লেখ না থাকলেও ইন্দারাটির বয়স প্রায় তিনশ’/সাড়ে তিনশ’ বছর হতে পারে। এর নির্মাণ কৌশল অন্য ইন্দারার নির্মাণ কৌশল থেকে আলাদা এর গোলাকার মুখের মাঝে বাড়তি করে ফুলের নকশায় নির্মাণ করা। গোলাকার মুখে একটি ক্রংক্রিটের বেড় দেয়া। এই বেড়ের গায়ে পানি তোলার জন্য দড়ির ঘষার অনেরক দাগ দেখা যায়।

এই দাগগুলো নিয়ে লোক মুখে ছড়িয়ে আছে একটি কাহিনী। ন্যাংড়ি, (খোঁড়া) নামের এক মেয়ে  তার সৎ মায়ের আদেশে প্রতদিনি চার পাঁচ কলসী পানি তুলে কাঠের চাকা ওয়ালা গাড়ীতে করে টেনে নিয়ে যেত। ন্যাংড়ি পক্ষা ঘাতে হাটতে অক্ষম হলেও হামাগুড়ি দিয়ে চলতে পারতেন। ইন্দারার পাশে জঙ্গলে বাঘের ভয় ছিল। দাঁড়াতে পারতেন না বলে হাতের শক্তি দিয়ে অতি কষ্ঠে হাতের শক্তি দিয়ে পানির বালতী তাড়াতাড়ি টেনে তুলতে গিয়েই এই দাগ গুলোর সৃষ্টি হয়।

ন্যাংড়ি দেখতে সুন্দরী ছিলেন। পরে এলাকার এক হৃদয়বান মানুষ ন্যাংড়িকে বিয়ে তাকে কষ্টের হাত থেকে রক্ষা করে। ন্যাংড়িকে তিনি আর পানি তুলতে দেননি। নিজেই ইন্দারা থেকে পানি তুলে নিয়ে যেতেন।

সংস্কার করলে ইন্দারাটি থেকে এখনো পানি ব্যবহার করা সম্ভব। মানিক মিয়ার বর্তমান বংশধররা সমাজে প্রতিষ্ঠিত বৃত্তশালী। তাদের ও এলাকাবাসী এখন আর ইন্দারাটির পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তবে প্রাচীন এই ইন্দারাটির স্মৃতি চিহৃ যেন মুছে না যায় সে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com