বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১১:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
খুলনার জিরো পয়েন্টে রূপালী ব্যাংকের উপশাখা উদ্বোধন দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে বৃহস্পতিবার শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রণয়নের বিকল্প নেই দেশব্যাপী বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস গরমে অসুস্থ হয়ে ঢামেক কর্মচারীর মৃত্যু দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে জেলেরা, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার এলপি গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা-যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা তীব্র গরম উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে চলছে শ্রমিক সমাবেশ দিল্লির ১০০ স্কুল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! নাটোরে জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার রেস্তোরাঁয় মডেলকে গুলি করে হত্যা ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ ন্যক্কারজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাম্বিয়ায় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ চীনে গভীর রাতে মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯ গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রকৌশলী নিহত নিঃসঙ্গ নারীদের টার্গেট, আমেরিকায় নেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে প্রতারণা ধর্ষণের সময় চিৎকার, গলা চেপে ধরায় মারা যায় শিশু ঝুমুর

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যাবাতি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: আমাদের দেশে গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে এক সময় আলোর অন্যতম বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো হারিকেন। কালের বিতর্তনে পঞ্চগড় জেলা সহ দেশের সব জায়গায় সবার ঘর থেকে হারিকেন হারিয়ে গেছে।

সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিটি ঘরের চিত্রটাই পাল্টে গেছে। গ্রামীণ সমাজের সন্ধ্যা বাতি হারিকেন এখন অতীত স্মৃতিতে পরিনত হয়ে গেছে। এখন আর কোনো ঘরে কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হাজার বছরের ঐতিহ্যের বাহন সেই হারিকেন এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ এখন থেকে ২০ বছর আগেও যেখানে বেশিরভাগ ঘরেই ব্যবহার হতো হারিকেন, আর ২০বছর পরে এসে সেইরূপ এখন পুরোটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ২০ বছর আগেও চিত্রটি ছিল এমন যে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সাঁঝের বেলায় নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন সন্ধ্যায় ঘরের আলো জ্বালানো নিয়ে।

প্রতি সন্ধ্যায় হারিকেনের চিমনি খুলে, ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ছিপি খুলে কেরোসিন তেল ঢেলে আবার ছিপি লাগিয়ে রেশার মধ্যে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে তা নির্দিষ্ট সীমারেখায় রেখে ঘরের মেঝে জ্বালিয়ে রাখত। ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা ও কিছুটা ছড়াকারের মত এক ধরনের কাপড় ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আলো কমানো ও বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি গিয়ার ছিল। হাতের সাহায্যে তা ঘুরিয়ে আলোর গতিবেগ কমানো ও বাড়ানো যেতো। রাতে ঘুমানোর সময় আলো কমিয়ে সারারাত হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো। তখন কুপি ছিল কয়েক প্রকার। একনলা, দুইনলা, একতাক, দুই তাকের, পিতল ও সিলভারের। তবে সিলভার, টিন এবং মাটির তৈরি বাতির ব্যবহার ছিল খুব বেশি।

বাতির নলে আগুন জ্বালানোর জন্য ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো কিংবা পাটের সুতলি। চিকন আর লম্বা করে ৫-৬ ইঞ্চির দৈর্ঘ্যরে ওই ফিতা বা রেশা বাতির নল দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতো। প্রতিদিন এর কিছু অংশ জ্বলে পুড়ে যেত। ফের পরের দিন আবার একটু উপরের দিকে তুলে দিতো। এক পর্যায়ে তা পুড়ে গেলে আবার নতুন করে লাগানো হতো। বাজার থেকে ৫-৭ টাকায় ওই বাতিগুলো কিনতে পাওয়া যেত। কিছুদিন পর নিচ দিয়ে ফুটো হয়ে তেল পড়ে যেত। ফের নতুন একটি বাতি বাজার থেকে কিনতে হতো। এটা ছিল নারীদের সন্ধ্যাবেলার দৈনন্দিন কাজের বিশেষ একটি অংশ।

এই বাতি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতো। এছাড়াও রাতের সকল কাজ, যেমন রান্না-বাড়া, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, ধান মাড়ানোসহ সকল চাহিদা মেটানো হতো এই আলো দিয়ে। এখন আর চোখে পড়ে না হারিকেন ও বাতির কথা। যারা শহর এলাকায় বাস করছেন বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম তো এখনো চোখে দেখেনি হারিকেন ও বাতির কথা। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন কালের আবর্তে ডিজিটাল যুগে এই হারিকেন নামীয় বস্তুটি কোন এক সময়ে স্মৃতি যাদুঘরে দেখা দেখা যাচ্ছে অতিত স্মৃতি হয়ে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com