বাংলা৭১নিউজ,গাজীপুর প্রতিনিধি: নিখোঁজের তিন দিন পর গাজীপুরের কালীগঞ্জের জঙ্গল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খানের (৩৮) বস্তাবন্দি পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রায়েরদীয়া ধলাবাড়ীর টেকের জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিকালে ওই কর্মকর্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত মামুন ইমরান খান ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার রাজরামপুর গ্রামের আজহার আলী খানের ছেলে। তিনি মালিবাগ এসবি অফিসে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, রোববার বিকালে বনানী চেয়ারম্যনবাড়ী থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ হন। তিন দিন পর মঙ্গলবার সকালে নাগরী ইউনিয়নের রায়েরদীয়া ধলাবাড়ীর টেকের জঙ্গল থেকে হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি আগুনে পোড়া অবস্থায় ওই পরিদর্শকের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় ছেলেমেয়েরা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে জঙ্গলের ভেতর আগুনে পোড়া একটি লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুনে পোড়া অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
খবর পেয়ে উলুখোল ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মাওলা ঘটনাস্থলে যায়। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেল এসপি পংকজ দত্ত, ওসি আবু বকর মিয়া, পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম, ঢাকা মালিবাগের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ওসি সৈয়দ নাসেরসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান। তিনি গত তিন দিন আগে বনানীর চেয়ারম্যানবাড়ীর একটি বাসা থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে লাশটি আগুনে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকারী যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/বিআর