বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক ৬০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মির্জাগঞ্জ-বরিশাল মহাসড়কে নির্মিত কালভার্ট দখল করে বহুতল পাকা ভবন নির্মান করার এক অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, ১০/১৫ বছর আগে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের মহিষকাটা গ্রামে দুই শতাধিক কৃষকের কৃষিকাজে সেচ সুবিধার লক্ষ্যে শ্রীমন্ত নদীর পানি ওঠা-নামার জন্য মির্জাগঞ্জ – বরিশাল মহাসড়কের মহিষকাটা বাজারের উত্তর পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মান করে।
সম্প্রতি আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাটিবুনিয়া এলাকার জনৈক দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি মহিষকাটা বাজারের উত্তর পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কালভার্টদখল করে বহুতল ভবনের নির্মান কাজ করছে। স্থানীয় একাধিক কৃষক জানায়, কালভার্টে শ্রীমন্ত নদীর পানি ওঠা-নামার স্থানে উত্তর ঝাটিবুনিয়া এলাকার প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করছেন। এ বহুতল ভবন নির্মান করা হলে কৃষিকাজে সেচ সুবিধা বন্ধ হলে শত শত একর জমি চাষাবাদ ব্যাহত হবে। ক্ষতির শিকার হবে শতাধিক কৃষক।
এ ঘটনা আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে তিনি অজ্ঞাত কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছেন এলাকাবাসী এ প্রতিনিধিকে জানান। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনাটি বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।
তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ অঅবু বকর সিদ্দিক বলেন এলাকার কৃষকদের কৃষিকাজে সুবিধার জন্য কালভার্টটি করা হয়েছে। তাই কৃষকদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় জায়গা এ্যাকোয়ার করে কালভার্টটি রক্ষা করার জন্য সরকারের কাছে জোরদাবী জানান তিনি। বরগুনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকির আলম জানান, ঘটনা অবহিত হয়ে গত ১৭ জানুয়ারী বুধবার সরজমিনে গিয়ে কালভার্ট’র মুখশায় ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করতে বলেছি। কিন্তু কাজ বন্ধ করেনি। দুই একদিনের মধ্যে ভবন নির্মানকারীকে নোটিশ দেয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস