বাংলা৭১নিউজ, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের দুই বারের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী কারাগার থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এলাকারজনগণ তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর সহধর্মীনি ফাতেমা আজাদ।
ফাতেমা আজাদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তায় ইর্শ্বানিত হয়ে কোন অভিযোগ ছাড়াই শুধুমাত্র নির্বাচনী মাঠ থেকে দুরে রাখতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও মির্জাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে পল্টন মডেল থানা পুলিশ।
রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, রাষ্ট্রিয় কাজে বাধা, পুলিশের উপর হামলা, সরকার বিরোধী প্রচারপত্র বিলির অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। পরে ৩দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগারে আটক রয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১২ জুনের নির্বাচনে বিএনপি মনোননীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ছাড়াও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইদুর রহমান সাঈদসোহরাব, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি নেতা ও জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শিল্পপতি এ কে এম আজাদ স্বাধীন, ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহম্মেদ খান এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যার্শী।
একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও জনপ্রিয়তায় আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বলে মনে করেন।
ফাতেমা আজাদ বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। এ কারণে তার জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বি।তিনি মাঠে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তার ধারেকাছে কেউ আসতে পারবে না বলেন ফাতেমা আজাদ।
আর সেজন্যই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে আটক করে জেলে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। নির্বাচনে সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে তিনি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর মুক্তি দাবি করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস