রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল খোলায় অসন্তুষ্ট অভিভাবকরা চীনে টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহত ৫ থেমে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, নিহত ৩ মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন

কারাগারে খালেদা জিয়ার এক বছর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ২৫০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারাবাসের এক বছর অতিবাহিত হয়েছে আজ। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। রাজধানীর পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। এরপর এই মামলার আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাঁর সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এই মামলা ছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন। পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পেলেও কুমিল্লার একটি নাশকতার মাধ্যমে হত্যা মামলায় তাঁর এখনো জামিন হয়নি।

এ বিষয়ে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর গত বছরের ১২ মার্চ হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের প্রভাবে তিনি মুক্ত হতে পারেননি। এ পর্যন্ত তাঁকে অবৈধভাবে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে তিনি মুক্তি পেতেন।

যেসব মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা : গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত বছরের ৩০ অক্টোবর এ মামলার আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। সেইসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা : গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে অপেক্ষমান রয়েছে।

পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় হাইকোর্ট থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন জামিন পেলেও কুমিল্লার একটি নাশকতার মাধ্যমে হত্যা মামলায় তাঁর এখনো জামিন হয়নি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

একনজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।

এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ থেকে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।

খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।

খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।

গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের দিন ধার্য ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট সাজা বৃদ্ধি করে ১০ বছর করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর রশিদ।

গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:এনটিভি/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com