সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের তালিকা প্রকাশসহ ৯ দাবি শেখ পরিবারের ছয় সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ‘দেশের ৬ কোটি শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও মজুরির মানদণ্ড নেই’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবে যে ব্যাখ্যা দিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার মণিপুরে আসাম রাইফেলসের ক্যাম্পে হামলা উত্তেজিত জনতার রেমিট্যান্স আহরণে ‘গোল্ড অ্যাওয়ার্ড’ পেলো ইসলামী ব্যাংক মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ নতুন করে ভ্যাট আরোপ হবে সরকারের নির্দয় সিদ্ধান্ত : জিএম কাদের মোবাইল-ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এনবিআর ঘেরাও রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করল আরব আমিরাত এবার মহাশূন্যে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ প্রকল্প বানাবে চীন! ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব সাধারণ নির্বাচনকে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ও ঐতিহাসিক’ করতে চায় সরকার টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জাকিরের ঝড়, সিলেটের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত বগুড়া বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হেনরীর জমি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেশে এইচএমপি ভাইরাস শনাক্ত ২৬ ফুট লম্বা স্যান্ডেল, গিনেসে নাম উঠছে সানিয়ার দীর্ঘমেয়াদী ও বড় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ইরান

কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে ইভিএমে ভোট হবে না

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কোনো ধরনের কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে ইভিএমে ভোট হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

সোমবার (২৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

‘ইভিএমে কারচুপি’ নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাম্প্রতিক বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, যিনি বলছেন তাকে প্রমাণ দিতে হবে। উনি যদি আমাদের কাছে এসে দেখতে চান, জানতে চান, আমরা উত্তর দেবো। উনি যদি প্রমাণ দিতে পারেন (ইভিএমে কারচুপির), তাহলে বাতিল করে দেবো। এর বাইরে কে কী বলবে, তা দেখে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের কাছে এসে যদি প্রমাণ করতে পারে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তাহলে ইভিএমে ভোট হবে না।

গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইভিএম প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ অধিকাংশ ব্যক্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ কারও কথা না শুনে ইভিএমের কারিগরি ত্রুটি না দেখে নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের ঘোষণা দিলো। কমিশন কী উদ্দেশে এ কাজ করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

ওই বক্তব্যে ড. বদিউল ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। অথচ ইভিএম প্রযুক্তিতে কারিগরি ত্রুটি রয়েছে, সমস্যা রয়েছে। ইভিএম প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্বাচনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এটি একটি দুর্বল যন্ত্র। এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ইভিএমের নিয়ন্ত্রণ বাইরের কারও হাতে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ও কর্তাব্যক্তিদের হাতে আছে। ১৫০ আসনে ইভিএম দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে কমিশন প্রতিটি মানুষের আস্থা হারিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী একটি নির্দিষ্ট এলাকায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তারা টহল দেবে। আর গুরুত্বপূর্ণ, যেমন সম্ভাব্য ভার্নারেবল কেন্দ্রগুলোর একটা রিপোর্ট নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা নিই। র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীর কাছে সে তালিকা আমরা দিই। কারণ, পর্যাপ্ত সদস্য তো তাদের নেই। তারা পর্যালোচনা করে কোথায় সেনা, কোথায় র্যাব, কোথায় বিজিবি লাগবে। আলোচনা করে তারা সে সিদ্ধান্ত নেয়।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, কেন্দ্রে জোরপূর্বক কেউ ভোট দিতে চাইলে প্রথমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা নেবেন। প্রয়োজনে বিজিবি বা সেনার সহায়তা নেবেন। আমাদের কন্ট্রোল রুম থাকে, সবার হাতে মোবাইল আছে, সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। বিজিবি যাবে, বিজিবি না পারলে সেনাকে ডাকবে। আশাকরি র্যাব, বিজিবি পারবে না এমন নয়। হয়তো লাখে একটা এমন ঘটনা ঘটতে পারে। কোথাও সেরকম হলে সেখানকার নির্বাচন বন্ধ থাকবে। পরবর্তী তারিখে আবার নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন দেশের অন্যান্য আইন কভার করে না। এক্ষেত্রে মৌলিক আইন পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া যিনি ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তার হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। মূল কথা হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী সহযোগিতা করবে। এতে তো আমরা একমত হয়েছি। প্রতিটি কেন্দ্রে সেনা দেওয়া তো সম্ভব নয়। তাহলে তাদের আকার অনেক বড় করতে হবে। তবে সরকারের প্রস্তাব থাকবে। আশাকরি সরকার এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে।

এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী সপ্তাহে রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে। সেখানে বিস্তারিত পরিকল্পনা থাকবে।

পৃথক দিনে ভোটগ্রহণ করার বিষয়ে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, একাধিক দিনে ভোট বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে করা কঠিন। তবে এজন্য আইনে কোনো বাধা নেই। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আমাদের দেশে একাধিক দিনে নির্বাচন করার ব্যবস্থা আছে। তবে আমাদের এখানে একাধিক দিনে নির্বাচন হয় না। কারণ, এটা তো ছোট দেশ। ভারতে তো একদিনে সম্ভব নয়। আমাদের এখানে তো সম্ভব। বরং একাধিক দিনে করলে আরও নানা রকম জটিলতা দেখা দেবে। একটা সুবিধা করার জন্য আরও ১০টা অসুবিধা যদি তৈরি হয়, সেই পন্থা অবলম্বন করা ঠিক হবে না।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, কোনো দলের নির্বাচনে আসা না আসার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সে অধিকারে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারবো না। তারা কী ধরনের সহযোগিতা চায় তা আমাদের কাছে এসে বলতে হবে। তবে এমন সহযোগিতা চাইতে হবে যেটা কমিশনের দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এখন একটা দল যদি এসে বলে, আমাদের ফান্ড দিতে হবে, সেটা দেওয়ার ক্ষমতা তো আমাদের নেই।

তিনি বলেন, ইভিএমে নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন তাদেরই আমরা আমলে নিয়েছি। বিএনপি তো আলোচনাতেই আসেনি। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি ইভিএমের পক্ষেই বেশিরভাগ আলোচক মত দিয়েছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com