রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের সারা দেশে দুই লক্ষাধিক আনসার মোতায়েন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি এক সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ ঘরেই মাদকের কারবার করতেন স্বামী-স্ত্রী, যৌথবাহিনী অভিযানে ধরা

কারও মান-অভিমান ভাঙাতে আর যেতে চাই না- প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দূরত্ব বা কারও মান-অভিমান ভাঙাতে যাবেন না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কারও মান-অভিমান ভাঙাতে যাব, সেটা আমি আর চাই না। সহানুভূতি দেখাতে যেয়ে যদি অপমানিত হতে হয়, সেখানে আর যাবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তোর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি ফকরুল ইমামের সম্পূরকে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। প্রশ্নকর্তা কবিতার ছন্দে জানতে চান ‘একটি পিছিয়ে পড়া জাতিকে উন্নয়নে ভাসিয়ে দেয়ার নাম শেখ হাসিনা, কমতে থাকা বাক্যালাপ, বাড়তে থাকা দূরত্বের, ক্ষোভের পাহাড় জমেছে বড় অভিমানের রাজত্বে, এই যে পলিটিক্যাল অভিমানটা চলছে, এটা কোনোক্রমে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে কম সমস্যা নয়, এই পলিটিক্যাল দূরত্ব কীভাবে সমাধান করবেন?

এর জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কোনো মান-অভিমানের প্রশ্ন নয়, এটা একটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রশ্ন ও আইনের প্রশ্ন। কেউ যদি অন্যায় করে, কেউ যদি অর্থ আত্মসাৎ করে, কেউ যদি অন্যায় করে, খুন করে, কেউ যদি খুনের প্রচেষ্টা করে, গ্রেনেড মারে, বোমা মারে, তবে তার বিচার হবে- এটাই স্বাভাবিক। রাজনীতি সবাই করেন, যার যার নিজের আদর্শ নিয়ে। আর দেশটা সকলের, এমন নয় যে দেশটা কেবল আমাদের। দেশের প্রতি দেশের জনগণের প্রতি যারা রাজনীতি করেন তাদের একটা দায়িত্ব থাকতে হবে, এবং সেই দায়িত্ববোধ থেকে সকলে স্ব স্ব কর্মপন্থা ঠিক করবেন এটাই হলো বাস্তব।

‘আমরা রাজনীতি করি আমাদের নিজেদের স্বার্থে না, নিজেদের লাভ-লোকসান দেখে না। সে বিচার, হিসাবও করি না। হিসাব করি, জনগণের জন্য কতটুকু করতে পারলাম, কতটুকু দিতে পারলাম। জীবনমান কতটুকু উন্নত হলো, এটাই আমরা দেখি, আর সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করি এবং তা বাস্তবায়ন করি। দেশের মানুষকে ভালোবেসে, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করি বলেই কিন্তু আজকে এত অল্প সময়ে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া তো করা সম্ভব না। অতীতে তো অনেক সরকার ছিল, এত অল্প সময়ে এতটা উন্নয়ন কোন সরকার করতে পেরেছে? কেন পারেনি? কেননা, সেখানে ব্যক্তিস্বার্থটাই দেশের ও জনগণের স্বার্থ থেকে বেশি বড় ছিল’,- বলে তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার ক্ষেত্রে হচ্ছে দেশের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ, গোষ্ঠীর স্বার্থ সবচেয়ে বড়, ব্যক্তিস্বার্থ না। ব্যক্তিগত হিসাব-নিকেষ করি না। আর সে কারণেই দেশটাকে উন্নত করতে পারছি, গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করতে পেরেছি, সেটাই বড়। তাই কারও মান-অভিমান ভাঙাতে যাব, সেটা আমি চাই না। সহানুভূতি দেখাতে যেয়ে যদি অপমানিত হতে হয়, সেখানে যাবার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।

প্রসঙ্গত, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর সময় তার মরদেহ দেখার জন্য গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। সূত্র: জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com