বাংলা৭১নিউজ, বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কাভার্ডভ্যান চাপায় আহত গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ক্যাম্প পুলিশের এএসআই আবদুল খান বলেন, আইসিইউতে থাকা (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া মারা গেছেন বলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সূত্রে জানতে পেরেছি। তবে কখন মারা গেছে সে সময়টি জানতে পারিনি। ডেথ সার্টিফিকেট পেলে সময় জানতে পারব।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্নকাঠী জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া।
সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা মেট্রো উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।
ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে কাভার্ডভ্যানটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া মোটরসাইকেলে করে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে আবারো থামার জন্য সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দু’পায় ও মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যান চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
সার্জেন্ট কিবরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। আটক কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মৃত জলিল সিকদারের ছেলে।
কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল থেকে সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/আর এইচ