বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কাকরাইল মসজিদে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভি ও আলমি শুরা গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে উত্তেজনা নিরসনের জন্য কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্যদের নিয়ে জরুরির বৈঠকে বসেছেন ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার সকালে মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারী তথা ওয়াসিফুল ইসলাম গ্রুপ এবং বাংলাদেশের আলমি শুরা অনুসারী তথা মাওলানা যুবায়ের আহমদ গ্রুপ-এর মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই গ্রুপকে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
জানা গেছে, আজ শনিবার সকালে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বৈঠক বসে। এসময় মাওলানা সাদের বিতর্কিত বক্তব্যকে ঘিরে সাদ পন্থী ও তার বিরোধী গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সাদ বিরোধীরা বলেন, মাওলানা সাদ যদি তার বিতর্কিত বক্তব্য থেকে সরে না আসে তাহলে তাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, আমরা মারামারি খবর শুনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাকরাইল মসজিদে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস