কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাব্বির ও সাজন সোমবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের দাফন করা হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করলে তাদের জানাজায় কেউ আসেনি। ফলে জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।
চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেলে সাব্বির ও সাজনের লাশ তাদের এলাকায় নিয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কায় নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। মাগরিব নামাজের পর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে কোনো হুজুর তাদের জানাজা দিতে রাজি না হওয়ায় পরে জানাজা ছাড়াই তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় দুই পরিবারের সীমিত সংখ্যক সদস্যকে কবরস্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ বলেন, এলাকাবাসী নিহতদের দাফনের সময় সমস্যা করতে পারে এ আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরও জানাজায় অংশ নিতে কেউ না আসায় অবশেষে জানাজা ছাড়াই তাদের দাফন করতে হয়েছে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন কাউন্সিলর সোহেল। এ সময় মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনিসহ অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা যান।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করা হয়।
এরপর কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ