বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, দায় সরকারের না’ ৪০ লাখ ডলার জেতার আনন্দে হার্ট অ্যাটাক করলেন তিনি নতুন শিক্ষাক্রমে গ্রামের অভিভাবক খুশি, আপত্তি শহুরে বাবা-মায়ের আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল ইসরায়েল ডিএনসিসির অভিযানে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ১০ বিঘা ভূমি উদ্ধার আমের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী তিন সেতু থেকে টোল আদায় ১৪৭২ কোটি টাকা ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা এবি ব্যাংকের মোংলা সমুদ্রবন্দর উপশাখার উদ্বোধন শুক্রবার ভোট, কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১১ স্থাপনাকে ডিএসসিসির ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ সাগরে লঘুচাপ, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত ‘ভ্যাকসিন নেই’, ‘রোগী মারা গেছে’—এমন আতঙ্ক ছড়াবেন না নির্মাণকাজ শেষ না হতেই দেবে গেল সেতু আনার হত্যায় সবাই গ্রেফতার, ‘মোটিভ’ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা সোনার চেইন নিয়ে পালাল ছিনতাইকারী, দৌড়ে ধরলেন ট্রাফিক এটিএসআই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে

কাঁপছে ভূরুঙ্গামারী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

পৌষের শীতের তীব্রতায় কাঁপছে ভূরুঙ্গামারীর মানুষ। ঋতুচক্রের পরিক্রমায় পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল। তাই ঋতুচক্রে শীতের শুরুতেই গত সাত দিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের শিশু, বৃদ্ধসহ শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের সূত্র মতে, দিন যতই গড়াবে শীতের তীব্রতাও ততই বাড়বে।

শীতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেও চাহিদার তুলনায় কম। তাই নিম্নমধ্যবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ ভিড় করছে কম দামি কাপড়ের দোকানগুলোতে।  

kalerkantho

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  ঘন কুয়াশার কারণে সময়ের হেরফেরে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। পৌষের সকালে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। কয়েক দিন ধরে ভূরুঙ্গামারীর আকাশ কুয়াশায় ঘেরা থাকে সারা দিন। দুপুরের আগে দেখা মেলে না সূর্যের। আবহাওয়ার এই বৈরী আচরণে কর্মজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। হাট-বাজারে মানুষজন কম। বেচা-কেনা কম থাকায় দোকানিরাও দ্রুত বাসায় ফিরে যান।  

দেখা গেছে, শেষ বিকেলে জনশূন্য হয়ে যায় রাস্তাঘাট। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্বের সঙ্গে নির্জনতা বাড়তে থাকে চারপাশে। রাতের আঁধারে কানে আসে বৃষ্টির মতো গাছের পাতা ও টিনের চালায় টুপ টুপ ঝরে পড়া শিশিরের শব্দ।

কম তাপমাত্রার আবহাওয়ার সঙ্গে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া মিশে বাড়িয়েছে ঠাণ্ডা। পৌষের শীতে টন টন করছে মানুষের হাত-পা। একটু উষ্ণতার খোঁজে কেউ জ্বালিয়েছে আগুনের কুণ্ডলী। কেউ শরীরে বাড়তি কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাড়তি কাপড় কেনার সামর্থ্য না থাকায় কষ্টে দিনাতিপাত করছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে সময়মতো  কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমিকরা। গবাদি পশু ছাড়াও অন্যান্য প্রাণী শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  

শীতের তীব্রতা নিবারণে সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে এ অঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষকে  আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে।

উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের দুলাল, লাইলি, জাহাঙ্গীর ও আম্বিয়া বেগম বলেন, আমরা সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করি। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বন্দরে পৌঁছতে হয়। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে কষ্ট হচ্ছে।

চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের অটোরিকশাচালক ইসমাইল ও বেলাল বলেন, কুয়াশার কারণে সড়কে অটো চালাতে সমস্যা হচ্ছে। সকালবেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় যাত্রীও কমে গেছে। কুয়াশা যত বাড়ে আয় তত কমে যায়।  

কনকনে শীতে ও ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন উপজেলার কৃষি শ্রমিকরা। এ অবস্থায় ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমতো মাঠে কাজ করতে পারছেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের কৃষক শ্রমিক শাহেব আলী বলেন, এত ঠাণ্ডায় মানুষ তো বিছানা থেকে ওঠেনি, আর আমরা কাজের জন্য মাঠে যাচ্ছি। এই ঠাণ্ডায় কাজ করতে একদমে মন চায় না। একই এলাকার শরিফা বলেন, কয়েক দিন থেকে খুবই ঠাণ্ডা পড়ছে। ঠাণ্ডায় বের হওয়া যাচ্ছে না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর আলম বলেন, উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে পাঁচ  হাজার কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে।  

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা তুহিন মিয়া (চলতি দায়িত্ব) বলেন, ৩১ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা  ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com