খুলনার বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ নিয়ে তেলেসমাতি যেন কমছেই না। আমদানির দুদিন পর থেকেই আবারো বেড়েছে দাম। ৪০০-৬০০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মরিচ। যার প্রভাব পড়েছে অন্য সবজির ওপরও। আলুসহ অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত। ফলে বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে বিক্রেতাদের ঝগড়া লেগেই থাকছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, কৃষকের উৎপাদিত মরিচ মধ্যস্বত্তভোগীরা আটকে রেখে বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দাম বৃদ্ধি করছে। এতে কৃষক বা খুচরা বিক্রেতাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।
শনিবার (৮ জুলাই) খুলনার একাধিক বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খুলনার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় খুলনার কোথাও কোথাও এক হাজার টাকা দরেও মরিচ বিক্রি হয়েছে। এরপর গত সপ্তাহে আমদানি করা হলে একদিনেই মরিচের দাম কমে যায় কেজিতে ৬০০ টাকা। কিন্তু তা স্থায়ী হয় মাত্র দুদিন।
আবারো বাজারে মরিচের দাম ৪০০ থেকে ৬০০ আর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। এখন এ দামেই বিক্রি হচ্ছে মরিচ। এর মধ্যে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা মরিচ, দেশি মরিচ ৬০০ টাকা এবং পান বরজের মধ্যে উৎপাদিত মরিচ ৮০০ টাকায়।
নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের সবজি বিক্রেতা হায়দার হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় অন্য সবজির ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সবজির দাম কমবেশি বেড়েছে শুধু মরিচের দাম বাড়ায়।
তিনি আরও বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহে কোনো কমতি নেই, মরিচেরও কমতি নেই। তবু কেন দাম বাড়ছে তা জানে না কেউ।
রূপসা উপজেলা থেকে জোড়াকল বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা মাসুম বলেন, কৃষক এখন আর বোকা নেই। তারাও বাজারের খোঁজ রাখেন। বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও সেই দামে সবজি বিক্রি করেন।
এদিকে কাঁচা মরিচের প্রভাবে দাম বেড়েছে বেগুন, কুশি, কাকরোল, কচুর মুখিসহ অন্যান্য সব সবজির। বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, কুশি ৬০ টাকা, পাতাকপি ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, কচু ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সাগর মৃধা বলেন, খুলনায় সবজির দাম কম ছিল। কিন্তু কাঁচামরিচ ব্যবসায়ীদের কারসাজি এখন অন্য সবজির ওপর প্রয়োগ করছে তারা।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুরগী বিক্রেতা লিপু বলেন, ঈদের কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছিল। এখনো সেই দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী ৩২০ টাকা, লেয়ার ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি