রাজধানীর কলাবাগান থানার লেক সার্কাস রোডের একটি বাসায় কুদরত-ই খুদা ওরফে হৃদয় নামের এক সাংবাদিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে অভিমানে আত্মহত্যা করতে পারেন হৃদয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে লেক সার্কাস রোডের ওই বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে এ সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যমুনা টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর পেয়ে কলাবাগান ৯৫ লেক সার্কাস রোডের বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আত্মহত্যা করবেন এমন একটি পোস্ট যমুনা টেলিভিশনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
আত্মহত্যার কারণ জানতে চাইলে ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, সাত বছর ধরে একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাংবাদিক কুদরত-ই খুদার। হয়তো সে সম্পর্কের জেরে অভিমান থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে আমরা এমনটিই ধারণা করছি।
মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আহমেদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিকের এক বান্ধবীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ