ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বদলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাছের গোলাপবাগ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। এদিকে, বিএনপি আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই সমাবেশ করবে। কোথায় করবে এই সমাবেশ, সেটা জানাতে গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকেছিল দলটি।
তবে দীর্ঘ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর গণমাধ্যমকর্মীদের অফিসিয়ালি কিছু না বলে বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা নয়াপল্টন দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় ত্যাগ করেছেন।
আজ (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে সমাবেশের বিস্তারিত জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
এদিকে, বিএনপির দলীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করেছেন। দলটির অফিসের সব গেট বন্ধ, ভেতরে কর্মীশূন্য। অফিসের সামনের রাস্তা নীরব। বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের জলকামান, রায়ট কার।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল তারা সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানার জন্য বর্তমান সরকারকে একটা সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে।
এর আগে, বিএনপি গত সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) চিঠি দিয়ে ঢাকার নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানায়। এখনও পুলিশ সমাবেশের জায়গার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার বিকেলে বলেন, জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা বিএনপিকে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছি।
বিএনপি গত বছর ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগ মাঠে একটি সমাবেশ করেছিল। এই সমাবেশ তারা করতে চেয়েছিল ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। তবে পুলিশ সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলা হয়। কিন্তু বিএনপি তাতে রাজি হয়নি।
এবার বিএনপির পক্ষ থেকেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে সমাবেশের আগ্রহের কথা জানানো হয়। পুলিশ তাদের গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, গোলাপবাগ মাঠটির আয়তন ৪ দশমিক ৫২ একর। এটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তুলনায় অনেক ছোট। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আয়তন প্রায় ৬৮ একর। ২২ জুলাই এই উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানেই ২৭ জুলাইয়ের সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, আজ সকালে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে রাজধানীতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, তবে সমাবেশে কোনো লাঠিসোঁটা ও ব্যাগ নিয়ে আসা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, মানুষকে কষ্ট না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশ করা উচিত। ভবিষ্যতে হয়তো এমন সময় আসবে যে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে এসব কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা লাগতে পারে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি