বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ইতিবাচক ফলাফলের প্রেক্ষিতে করোনায় চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে ‘রেমডেসিভির’ ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।এনবিসি নিউজ, নিউইয়র্ক পোস্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুক্রবার খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এফডিএ রেমডেসিভিরকে ‘জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন’ দিয়েছে।
ওভাল অফিসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্বাস্থ্য ও মানবসেবাবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার, (এফডিএ) কমিশনার ড. স্টিফেন হান ও গিলিড সায়েন্সেস-এর সিইও’র মধ্যকার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এর আগে মার্কিন বিজ্ঞানীরা ‘রেমডেসিভির’ এর কার্যকারিতা সম্পর্কে হোয়াইট হাউসকে জানিয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে এই ওষুধের কার্যকারিতার প্রমাণের পর একেবারে আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রে ‘রেমডেসিভির’ ব্যবহৃত হচ্ছিল।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে এই ওষুধ ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলেছেন। টাস্কফোর্সের সদস্য অ্যান্থনি ফউসি ও দেবোরাহ ব্রিক্স ছাড়াও এফডিও প্রধান স্টিফেন হাহন ওষুধ অনুমোদনের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
যদিও করোনা চিকিৎসায় এই রেমডেসিভির ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীন। ট্রাম্প জানান, রেমডেসিভির ওষুধের নির্মাতা সংস্থা গিলেড প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ লাখ শিশি ওষুধ প্রথম ধাপে বিনামূল্যে দান করবেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, আগামী সোমাবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে দেয়া শুরু হবে রেমডেসেভির ওষুধ।
রেমডেসিভির মূলত ইবোলার জন্য বানানো একটি ওষুধ। কিন্তু ইবোলা আক্রান্তদের উপরে এটি তেমনভাবে কাজ করেনি। তবে পরবর্তীকালে সার্স ও মার্স রোগীদের চিকিৎসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ওষুধ ভালভাবে কাজ করে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক থেকে এবং মৃত্যুর দিক থেকে সবার শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে এখন পর্যন্ত আমেরিকায় প্রায় ১১ লাখ ২ হাজার ৬৭৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজারের বেশি। গবেষণাভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ২৯ হাজারের বেশি এবং মৃত্যুর সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ