খুলনা বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ফের হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) একদিনে রেকর্ড এক হাজার ৪৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছেন ৩০ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিভাগে করোনায় এক হাজার ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে, গত ২৫ জুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল এক হাজার ৩২২ ও মারা যান ২৩ জন। গত ২৭ জুন শনাক্ত ছিল এক হাজার ২০২ জন ও মৃত্যু ছিল ২৮। ১৮ জুন এক হাজার ৩৩ জনের শনাক্তের পাশাপাশি ৮ জনের মৃত্যু হয়। আর গত ২৩ জুন ৩২ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত ছিল ৯০৩ জন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় ছয় জন, বাগেরহাটে দুই,সাতক্ষীরা-যশোর-নড়াইলে একজন করে, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে চার জন করে, কুষ্টিয়ায় ৯, চুয়াডাঙ্গায় দুই জন মারা গেছেন। আজ মাগুরায় কারও মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়নি।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৩১ জন। মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১১ জনে। খুলনা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৭৯৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগী ২৪৬ জন। জেলায় মোট শনাক্ত ১৪ হাজার ৯৪৩ জন। মারা গেছেন ২৪৬ জন।
এছড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অন্যান্য জেলার মধ্যে বাগেরহাটে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১২৪ জন। মোট শনাক্ত তিন হাজার ১৮৩ জন। মারা গেছেন ৮১ জন। সাতক্ষীরায় শনাক্ত ৬৭ জন। মোট শনাক্ত তিন হাজার ৩০০ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। যশোরে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন। মোট শনাক্ত ১১ হাজার ৭৭৯ জন। মারা গেছেন ১৩৪ জন। নড়াইলে শনাক্ত ৫৩ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৮১ জন। মারা গেছেন ৪১ জন। মাগুরায় শনাক্ত ২২ জন। মোট শনাক্ত এক হাজার ৫০৯ জন। মারা গেছেন ২৫ জন। ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছে ১৪৩ জন। মোট শনাক্ত চার হাজার ১৩৭ জন। মারা গেছেন ৮৭ জন। কুষ্টিয়ায় শনাক্ত ১৭২ জন। মোট শনাক্ত সাত হাজার ৩৫৬ জন। মারা গেছেন ১৯৮ জন। চুয়াডাঙ্গায় শনাক্ত ৮৪ জন। মোট শনাক্ত তিন হাজার ১৬৭ জন। মারা গেছেন ৮৬ জন। মেহেরপুরে শনাক্ত ৮৪ জন। মোট শনাক্ত এক হাজার ৬৭৬ জন। মারা গেছেন ৪৬ জন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ