বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার বিষয়ে যা বললেন মন্ত্রী শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে : প্রতিমন্ত্রী কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ জাপানের কথাসাহিত্যিক জাহানারা নওশীন মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে উন্নয়ন ইস্যু অগ্রাধিকার পাবে দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলেন শিক্ষার্থীরা জামিন নিতে এসে কারাগারে বিএনপির ২৯ নেতাকর্মী আমরা জনগণের জন্য আন্দোলন করছি: এ্যানী পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভবন নির্মাণে ব্যয় বাড়ল ৪৮ কোটি সাদিক অ্যাগ্রোর সেই কোটি টাকার গরুসহ ৬টি গরু উদ্ধার কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ ডিএনসিসির সব স্কুলে বাস চালু করা হবে: মেয়র আতিক যে কারণে ইংলিশ মিডিয়াম ও অভিজাত স্কুলের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন শিক্ষামন্ত্রী পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট : নানক শিশু কিডনী চিকিৎসক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হলেন ডা. আফরোজা বেগম ইসলামী ব্যাংকের কর্পোরেট উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রয় সম্পন্ন ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত করে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যখন ডিফেন্স করা দরকার ছিল তখন ওরা মারতে গেছে, কী আর বলবো ‘প্রত্যয় স্কিমের নামে শিক্ষকদের অনাহারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার’ চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ

করোনায় বয়সে ছাড়: দ্রুত শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড়ের ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট করোনাভাইরাসের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ২১ মাসের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) প্রবেশকালে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৯ আগস্ট পত্রের মাধ্যমে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এমতাবস্থায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্যপদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

গত ১৯ আগস্টের নির্দেশনার চিঠি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।

এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের করোনা মহামারির কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় দিয়েছে সরকার।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।

করোনা মাহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী পাঁচ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না।

করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়েছে। কয়েক লাখ চাকরি প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। ওই বছরের ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন দেয় সরকার। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। কয়েক দফায় শিথিলতাও আনা হয় বিধিনিষেধে। শেষে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ৫ আগস্ট থেকে আরও পাঁচদিন সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ আগস্ট। এরপর গত ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, গণপরিবহন, দোকান ও শপিংমলসহ মোটামুটি সবই খুলেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com