শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

করোনায় বয়সে ছাড়: দ্রুত শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড়ের ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট করোনাভাইরাসের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ২১ মাসের ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) প্রবেশকালে সর্বোচ্চ বয়সসীমা অতিক্রান্ত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ১৯ আগস্ট পত্রের মাধ্যমে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এমতাবস্থায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ছাড়া) সরাসরি নিয়োগের শূন্যপদগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয় চিঠিতে।

গত ১৯ আগস্টের নির্দেশনার চিঠি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।

এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের করোনা মহামারির কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় দিয়েছে সরকার।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।

করোনা মাহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী পাঁচ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না।

করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়েছে। কয়েক লাখ চাকরি প্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। ওই বছরের ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন দেয় সরকার। তবে গণপরিবহন, মার্কেট খোলা রেখে এই লকডাউন ছিল অনেকটাই অকার্যকর।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। কয়েক দফায় শিথিলতাও আনা হয় বিধিনিষেধে। শেষে গত ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। গত ৫ আগস্ট থেকে আরও পাঁচদিন সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হয় গত ১০ আগস্ট। এরপর গত ১১ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, গণপরিবহন, দোকান ও শপিংমলসহ মোটামুটি সবই খুলেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com