করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে বরিশাল বিভাগে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন তাঁরা।
১৭ জনের ১০ জন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতজন। একই সময়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৬৯ জন।
যে ১০ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন তাঁরা বরিশালে পাঁচজন, পটুয়াখালীতে একজন, ভোলায় তিনজন ও পিরোজপুরে একজন রয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৩৫৩ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার ৫৫৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৩০৫ জন নিয়ে মোট ১৬ হাজার ১৭১ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ৯১ জন নিয়ে মোট ৫ হাজার ৩৯১ জন, ভোলায় নতুন ৯২ জনসহ মোট ৫ হাজার ১৭৬ জন, পিরোজপুরে নতুন ৯৯ জনসহ মোট ৪ হাজার ৮৭৪ জন, বরগুনায় নতুন ৫৮ জনসহ মোট ৩ হাজার ৮০০ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২৪ জন নিয়ে মোট ৪ হাজার ৩৪১ জন রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. বাসুদেব আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৯১ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৯১ জনের মধ্যে ১৩৭ জনের কভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২১ জন ও করোনা ওয়ার্ডে আটজন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২১৫ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৪৬ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ