বাংলা৭১নিউজ,হিলি(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারনে সাজনা ডাটার বাজারে ধস নেমেছে মৌসুমি মুখোরোচক সবজি হিসেবে সব শ্রেণী ক্রেতাদের প্রিয় খাবার সজনা ডাটা বিক্রি না হওয়ায় গাছেই ঝুলছে। প্রতি বছর এই সময় সজনার দাম থাকে ক্রেতাদের অনুকূলে আবার কখনো নি¤œ আয়ের ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে।
সীমান্তবর্তী এই এলাকায় সজনার কোন সুনির্দিষ্ট চাষ নেই বা বাগান নেই, গ্রামের বাড়ী ভিটার আশপাশ গাছ সজনা রোপন করে তাতেই নিজের সংসারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত অংশ বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে বাড়তি আয় করে থাকেন কৃষকরা। এবার সাজনা ডাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ফলে পাইকাররা আসছেনা গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে ফলে গ্রামাঞ্চলের হাট গুলোতে সজনা ডাটার বাজার মূল্যে ধস নেমেছে।
ঢাকা সহ জেলা ও বিভাগীয় শহরে সজনার দাম প্রতি কেজি ৮০/১০০ টাকা বিক্রি হলেও গ্রামাঞ্চলে এবার সেই সজনা বিক্রয় হচ্ছে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কোরবান আলী বলেন, প্রতি মৌসুমে হিলি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে মৌসুমী ফল সজনার ডাটা প্রায় ৩ থেকে ৫ শ টন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে পাঠানো হতো। কিন্তু এবার করোনার কারনে সাজনা কিনে ক্ষতির আশংকায় কেনা হচ্ছে না।
সজনা চাষী আহম্মেদ আলী বলেন, গত বছর এই সময় প্রতিকেজি সজনার পাইকারী মূল্য ছিল ৪০/৪৫ টাকা। সেই সজনা করোনা ভাইরাসের কারনে বাহিরের পাইকার না আসায় ব্যাপক পরিমান সজনা ডাটা হাটবাজারে উঠলেও তা বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা ক্রেতা প্রয়োজন মত ক্রয় করলেও বাহিরের পাইকার না থাকায় গাছে গাছে এখনো ঝুলছে মণে মণে সজনা।
বাংলা৭১নিউজ/ইউআর