শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বস্ত্রশিল্প

নরসিংদী প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে নরসিংদীর বস্ত্রশিল্প। কোভিড-নাইন্টিনের কারণে লকডাউন ও অর্থনৈতিক মন্দাভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বস্ত্রশিল্পে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তুলা ও সুতার দাম বৃদ্ধি এবং বন্ডের অপব্যবহারের কারণে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। দেশের অভ্যন্তরীণ কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করে থাকে নরসিংদী জেলার বস্ত্রশিল্পগুলো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির শুরুতে জেলার সকল বস্ত্র কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জুন মাসে সরকারি সিদ্ধান্তে সীমিত পরিসরে আংশিক চালু করা হয় কাপড়ের কারখানাগুলো। 

সে সময় দেশের বাইরে থেকে বিদেশি কাপড় আমদানি না হওয়ায় এবং কাপড়ের চাহিদা ভালো থাকায় লাভের মুখ দেখে বস্ত্রশিল্প। পাশাপাশি চালু করা হয় কারখানাগুলোও। তবে বর্তমানে আকস্মিকভাবে তুলা ও সুতার মূল্য বৃদ্ধি বাজারে কাপড়ের চাহিদা কমে যাওয়া সেই সাথে বন্ডের অপব্যবহার করে বিদেশি কাপড় দেশীয় বাজারে বিক্রি করার কারণে বিপাকে পড়েছে টেক্সটাইল মালিকরা।

নরসিংদীর মেসার্স বিসমিল্লাহ্ টেক্সটাইল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমির হোসেন বলেন, বন্ডের কাপড় বন্ধ যদি না করা যায় তাহলে এটির ওপর যাতে নিষেধাজ্ঞা থাকে, তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। টেক্সটাইল মালিকরা জানান, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা হলেও এই জেলার টেক্সটাইল ডাইংসহ দেশিয় বস্ত্রশিল্পের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো এই সুবিধার আওতায় আসেনি।

 নরসিংদীর মেসার্স কেএনকে টেক্সটাইল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নান্নু আলী খান  বলেন, আমি সরকারকে অনুরোধ করবো দেশি শিল্প যারা যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম করে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা হোক, দেশি শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য।  বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এসোসিয়েশন বলছে, বন্ডের মাধ্যমে বিদেশি কাপড়ের আমদানিতে কাস্টমসের নজরদারি বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল এসোসিয়েশনের পরিচালক মো. রাশিদুল হাসান রিন্টু বলেন, বন্ডে যারা আনে তারা আমাদের থেকে পাঁচ টাকা কমে কাপড় বিক্রি করে দিবে। বন্ডের কাপড় বাজারে না থাকলেই লোকাল কাপড় ভালো থাকে।  
সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে নরসিংদীর দেশীয় বস্ত্রশিল্প খাত ঘুরে দাঁড়াবে, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com