বাংলা৭১নিউজ,(ফরিদপুর)প্রতিনিধি: নজরকাড়া সৌন্দর্য, সেইসাথে তেল হিসেবেও ব্যবহার রয়েছে। বলছি সূর্যমুখীর কথা। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহে চোখ জুড়াতে আসছেন দর্শনার্থীরা। আর এ দৃশ্যের দেখা মিলছে ফরিদপুরে। যেখানে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ। কম সময় আর স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় চাষীরাও বেশ খুশি।
সূর্যমুখীর নজরকাড়া সৌন্দর্য পুলকিত করে যে কাউকেই। সেই সাথে তেল হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুনসম্পন্ন।
আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় এ ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এ কারণে ফরিদপুরে দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। জেলার নয়টি উপজেলায় শতাধিক চাষী এ ফুল চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
কৃষকরা বলছেন, সূর্যমুখী চাষে এক বিঘা জমিতে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। সামান্য রাসায়নিক সার আর দুইবার সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৮৪ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায় ফসল।
অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ আর অধিক লাভ হওয়ায় এই ফুল চাষ করছেন অনেকেই। আগামীতে চাষের আগ্রহও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম খান জিয়া জানান, ডাল তেল বীজ উৎপাদন খামারে ২ একর জমিতে বাই সূর্যমুখী-৩ আবাদ হয়েছে। এই জাতটি আমাদের বিএডিসি চাষীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকাতে চাষাবাদ হচ্ছে। বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী বীজে তেলের পরিমান ৪২-৪৪ শতাংশ বেশি।
বাংলা৭১নিউজ/এএম