মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

কমিটির মাধ্যমে তৃণমূলে সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করুন: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সমাজ জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আরও সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সরকারি সেবা গ্রহণে মানুষ যাতে কোনভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সকলকে।

সম্মেলনে অংশ নেয়া ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও ৮ বিভাগীয় কমিশনারকে ১৯ দফা কাজের দিক-নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

একইসঙ্গে তিনি জেলা প্রশাসকদের নিজ নিজ জেলা এলাকায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কমিটি গড়ে তুলে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জনপ্রসাশন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। সূচনা বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন পযায়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তৃতা দেন- ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল উদ্দিন আহমদ।

এছাড় জেলা প্রশাসক রাজবাড়ি বেগম জিনাত আরা ও জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ শেখ রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১৯টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষ যাতে কোনভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে সমাজ জীবনের সর্বক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতার সঙ্গে এবং কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

তিনি প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পাচার, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, যৌতুক, ইভটিজিং এবং বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক ব্যাধি থেকে পরিত্রাণের জন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনে ব্রতী হতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বিকাশে নেতৃত্ব প্রদানের তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কৃষি-উৎপাদন বৃদ্ধিতে সার, বীজ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ইত্যাদির সরবরাহ নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবেশবান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনাকে জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং এ ধরনের অনৈতিক কর্মকা- কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি বিধানের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশমনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ এবং এ সংক্রান্ত স্থায়ী নির্দেশনাবলী, ২০১০ অনুসারে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সহজে সুবিচার প্রদান ও আদালতে মামলার জট কমাতে গ্রাম আদালতগুলোকে কার্যকর করতে হবে।

শিল্পাঞ্চলে শান্তি রক্ষা, পণ্য পরিবহন ও আমদানি-রফতানি নির্বিঘেœ করা এবং চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, পেশিশক্তি ও সন্ত্রাস নির্মূল করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে এবং বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির যে কোন অপচেষ্টা কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশানকদের উদ্দেশে আরও বলেন, কঠোরভাবে মাদক ব্যবসা, চোরাচালান এবং এর অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য জেলাগুলোর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি এ অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, বনাঞ্চল, নদী-জলাশয়, প্রাণিসম্পদ এবং গিরিশৃঙ্গগুলোর সৌন্দর্য সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া, পর্যটনশিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী কুটিরশিল্পের বিকাশে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্তমানে যে সমস্যাটা দেখা যাচ্ছে সেটা সন্ত্রাসি ও জঙ্গিবাদি কর্মকা-। যদিও এটা নতুন না, আপনাদের মনে থাকা উচিত দেশে একইদিনে ৫০০শ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছে, গোপালগঞ্জে আমার সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজির বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে ছিল, আমার ওপর গ্রেনেড হামলাসহ বেশ কয়েকবার হত্যা প্রচেষ্টায় হামলা হয়েছে, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া’সহ আহসানউল্লাহ মাস্টার এমপিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসক-বিভাগীয় কমিশনারদের নিজ নিজ প্রশাসনিক এলাকায় চলমান জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশে নানা ধরনের সন্ত্রাসি ঘটনা ৭৫এর পর থেকে বার বার ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু, ইদানীং যেটা শুরু হয়েছে আমাদের শান্তির ধর্ম ইসলামকে নিয়ে ,ধর্মের নাম নিয়ে মানুষ খুন করা। কত নৃশংসভাবে হত্যা করা যা কল্পনাও করা যায় না। কাজেই যে উপসর্গ দেখা গেছে একে যে কোনভাবে হোক মোকাবেলা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলা, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার হামলার ঘটনা উল্লেখ করে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এসব ঘটনা মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

রাজধানীর কল্যাণপুরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার ফলে একটা বিরাট ও ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে।

কল্যাণপুরের ঘটনায় নিহত সন্ত্রাসীরা নাশকতা ঘটানোর জন্য তৈরি ছিলো বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কল্যাণপুরে সন্ত্রাসীরা ঘটনা ঘটাবে বলে প্রস্তুতি নিয়েছিলো। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেখানে অপারেশন করা হয়। অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী মারা গেছে, একজন আহত অবস্থায় আটক হয়েছে, একজন পালিয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস অবশ্যই মোকাবেলা করতে হবে, প্রতিরোধ করতে হবে। মানুষের জীবন নিরাপদ করতে হবে। আমরা চাই না আমাদের দেশটা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হোক।

জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে অনেক শিক্ষিত এবং ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কল্যাণপুরে আজকের অপারেশনে যারা নিহত হয়েছে, তাদের মধ্যেও অনেকেই শিক্ষিত বলে জানা গেছে।

সন্ত্রাস মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তৃণমূল থেকে সন্ত্রাস বিরোধী কমিটি গঠন করে কোথায়, কারা সন্ত্রাস করছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা যেন সঠিক শিক্ষা পায় সে জন্য শিক্ষক, অভিভাবকদের সহায়তা করা।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকদের বিরাট দায়িত্ব রয়েছে। ইউনিয়ন, ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে। সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম, ঐক্য নিয়ে এই সন্ত্রাসকে রুখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি এলাকার মানুষের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগুক। দেশে কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না। ক্ষুধার্ত থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, উন্নত শিক্ষা-চিকিৎসা পাবে। প্রতিটি ছেলে মেয়ে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে।

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে উন্নয়নের কাজগুলো যথাযথ ভাবে হচ্ছে কিনা সেটাও দেখতে হবে আপনাদেরকে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, কেউ না খেয়ে থাকবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি, জনকল্যাণমুখী প্রশাসন গড়ে তুলছি। এখন ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়বো।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে কেন্দ্রীয় সরকারে বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্য করা হতো, উচ্চপদে বাঙালি কর্মকর্তা ছিলেন অনেক কম। অথচ উৎপাদন ও রফতানি আয়ের সিংহভাগ পূর্ব পাকিস্তানে হতো।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বৈষম্য দূর করে অধিকার আদায়ে জাতির পিতা ২৩ বছর সংগ্রাম করেন, আন্দোলন করেছেন। এজন্য কারাবরণ করতে হয় তাঁকে, ফাঁসিতে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে চলি। আমাদের সামনে যে বাধা তা মোকাবেলা করেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। কেউ আমাদের অগ্রযাত্রাকে রুখতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক অঙ্গীকার- ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com