বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা : কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রীম টিকিট প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, কিশোর মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই টিকিটের জন্য এসে ঠাঁই নিয়েছেন কাউন্টারের সামনে। কেউ দাঁড়িয়ে কেউবা বসে খোশগল্প করছেন কিংবা তাস খেলছেন।
আজ ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে।
মোস্তাক আহমেদ নামের একজন সঙ্গে তার শ্যালক রনিকে নিয়ে এসেছেন যাত্রাবাড়ী থেকে। ১ জুলাই গ্রামের বাড়ি জামালপুর যাবেন। সকালে টিকিট পাওয়া যাবে, এ কারণে তিনি রাতেই চলে এসেছেন বলে জানান।
খিলগাঁও থেকে আগত সরাফতউদ্দিন বলেন, ‘সকালে অফিস আছে। এ কারণে রাতে আসলাম। কেননা লাইনের প্রথমে থাকলে আগে টিকিট পাওয়া যাবে।’
প্রতিবার তিনি এভাবেই টিকিট কাটেন। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন বলে আলাপচারিতায় জানান।
শুধু এরা নন, সবগুলো কাউন্টারের সামনেই লোকজন দাঁড়িয়ে, বসে গল্প কিংবা তাস খেলে লাইন পাহাড়া দিচ্ছিলেন। সময়ের সঙ্গে কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়ও বাড়ছিল।
মঙ্গলবার রাতে সরেজমিন ঘুরে আরো দেখা যায়, লাইনে আসা লোকজনের মধ্যে কোনো কালোবাাজারি আছে কি না, তার তদারকি করছিলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে লাইনে দাঁড়াতে গিয়ে সবচে বেশি বিপদে পড়েছেন নারীরা। তাদের জন্য যে দুটি কাউন্টার আছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তীর। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, এবার ২৩টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় বেশি। লাইনে থাকলেও সবাই টিকিট পাবেন। কেননা এবার ট্রেনের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। স্টেশনে কোনো ধরনের কালোবাজারি নেই বলে তিনি দাবি করেন। নারীদের কাউন্টার কম হলেও টিকিট দিতে সমস্যা হবে না বলে তিনি মনে করেন।
স্টেশনের অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৯টি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে মোট ৬৮টি ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্পেশাল ট্রেন রয়েছে তিনটি। সব মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস