শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বে ৮ শিশু ও তরুণীর মধ্যে একজন ধর্ষণ-যৌনহয়রানির শিকার এটিএম থেকে বিকাশে রেমিটেন্স ক্যাশ আউট ৭ টাকায় বগুড়ায় বিলের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিলো জামায়াত মমতাজসহ ৯০ জনের নামে হত্যা মামলা একসঙ্গে ৫ নারী বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন ইতিহাস সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান ক্যাং নির্বাচনমুখী সংস্কারগুলো আগে বাস্তবায়ন করতে হবে: সালাহউদ্দিন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র কারাগারে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৫০ বাংলাদেশি রাশিয়ায় এবার বিমানঘাঁটিতে হামলা, এখনো জ্বলছে তেল টার্মিনালের আগুন ২৪ ঘণ্টায় সাবের হোসেন কীভাবে মুক্তি পেলেন: প্রশ্ন রিজভীর রাজনগরে ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার, আটক ১ হারুনের দেশত্যাগ নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের নামে মাহমুদুর রহমানের মামলা ডিম-পেঁয়াজ-আলুর দাম কিছুটা কমেছে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১৪ শিক্ষার্থী আহত দুই কোটির ব্যবসায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ, এস আলমের মাসুদের ঘাড়ে দায় গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহ সদস্যকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কমছে পদ্মার পানি, সঙ্গে নিচ্ছে ঘরবাড়ি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(শরীয়তপুর)প্রতিনিধি: পদ্মা নদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি এলাকায় প্রায় ১৫টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে। আরও প্রায় ৩০টি বাড়িঘর ভাঙনের মুখে রয়েছে। ইতোমধ্যে ভাঙন রোধে এক হাজার ৯৪৬টি বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলেছে পাউবি।

শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া শুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত সোমবার পর্যন্ত পদ্মা নদীতে পানি বাড়ছিল। মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে পদ্মার পানি কমায় নাওডোবা মুন্সীকান্দি এলাকায় ভাঙতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নাওপাড়া মুন্সীকান্দি গ্রামে মঙ্গলবার রাত থেকে নদীভাঙন চলছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানকার প্রায় ১৫টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়েছে।

নওপাড়া মুন্সীকান্দি গ্রামের লতিফ মাদবরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, দুই বছর আগেও তার স্বামীর ১০০ শতাংশ জমি ছিল। কিন্তু সর্বনাশা পদ্মা নদীর ভাঙনে তাদের ফসলি জমি, ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে যায়। জমি, বাড়ি সব হারিয়ে গত বর্ষার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য এনায়েতুল্লাহর দুই শতাংশ জমির ওপর দোচালা টিনের ঘর করে বৃদ্ধ স্বামী, ছেলে, ছেলের বউ ও দুই নাতনীকে নিয়ে থাকতেন। কিন্ত গত মঙ্গলবার রাতে সেই জমিও ঘরসহ নদীগর্ভে চলে যায়।

একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বেপারী বলেন, মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ঘরের দরজা খুলে দেখি ঘরের সামনে পর্যন্ত জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরটি কোনো রকমে সরিয়ে নিতে পেরেছি। এখন অন্যের জমিতে টিনের ছাপড়া দিয়ে বসবাস করছি।

নওপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ আজগর সোহেল মুন্সী বলেন, পদ্মা নদীর পানি কিছুটা কমায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, নওপাড়া মুন্সীকান্দির ১৫টির মতো ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকগুলো বাড়িঘর হুমকির সম্মুখীন ছিল বিধায় তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করেছি।

শরীয়তপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সুমন চন্দ্র বনিক বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভাঙন রোধে বুধবার নওপাড়া মুন্সীকান্দি এলাকায় এক হাজার ৯৪৬টি বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। ওখানে ৪ হাজার ৪৮৭টি জিওব্যাগ ফেলা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেডএ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com