টানা বৃষ্টি, উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তা নদীতে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানি কমতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ছে তিস্তার দু’পাড়। দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। অনেকেই বসতবাড়ি, আবাদি ফসল, মৎস্য খামার হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারীতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হঠাৎ করে বিপৎসীমা ৩৩ দশমিক ২ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে তিস্তা নদীর পানি। তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বাড়তে শুরু করলে দিনগত রাত ২টায় তা বিপৎসীমা ৪৮ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে এবং ভোর ৪টায় আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে বুধবার বেলা ১২টা থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেলের দিকে তা বেড়ে বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ওঠে। রাত থেকে কমতে থাকে পানি।
বন্যাকবলিতদের দাবি, আকস্মিক বন্যায় আমাদের সহায়-সম্বল হারিয়েছি। আমাদের আর কিছু রইলো না, আমরা ১৯৯৬ এর পর এ প্রথম এমন বন্যা দেখলাম। আমরা সরকার ও দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো গিয়ে দেখছি। ভাঙন এলাকাগুলো ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান পরিদর্শন করেছেন। আমাদের একার পক্ষে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তি বা সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান করছি।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। এখন তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যানিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বালুভর্তি বস্তা ফেলা হচ্ছে। জনসচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ