বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর জেলখানায় হত্যা: শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল কর্ণফুলীতে গোসল করতে নেমে দুই পর্যটক নিখোঁজ টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবার সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ দেশের স্বাধীনতা, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করবো না: জামায়াত আমির ডিএমপিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৫২৯ মামলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে কয়েকশ’ ঘর ভস্মীভূত, নিহত ২ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, ক্ষেপল ডেনমার্ক! নারায়ণগঞ্জে নসিমনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত দুদকের মামলায় গ্রেফতার সাবেক সচিব ইসমাইল গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ইতিহাস গড়ল বাংলার মেয়েরা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীল ধারা অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরেই জাতীয় নির্বাচন সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ বড়দিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সোয়াট-স্পেশালাইজড ইউনিট ঢাকায় বিয়ের দাওয়াতে এসে নোয়াখালীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে নেত্রকোনায় শোকের ছায়া

নেত্রকোণা প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে নেত্রকোনার সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে নানান স্মৃতিচারণ করে কবিকে স্মরণ করছেন তার নেত্রকোনার স্বজন, সহপাঠী ও অগণিত ভক্তরা।

কবি হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে। তার শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্য কেটেছে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায়।

১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা শহরের দত্ত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেই যে রাজধানীবাসী হন, আর ফেরেননি নিজ এলাকায়।

নেত্রকোনারই এক নারীর সঙ্গে কৈশোরকাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কবির। কিন্তু সবে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, ঠিক তখন ওই নারীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন তার মা-বাবা। এ কারণে আজীবন এক বিরহ-যন্ত্রণাকে লালন করে বেঁচেছিলেন কবি। আর তা দিয়ে বুনন করে গেছেন অনন্য সব কবিতা। চাওয়া-পাওয়ার হিসেব-নিকেশ তার কাছে ছিল নিতান্ত তুচ্ছ। এসব কারণে জন্মভূমি নেত্রকোনার প্রতিও ছিল তার এক ধরনের প্রচ্ছন্ন অভিমান।

গত ৫০ বছরে মাত্র তিনবার নেত্রকোনায় আসেন কবি। সর্বশেষ আসেন ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নেত্রকোনার বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসবে, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করতে। তা-ও স্থানীয় ভক্ত, সহপাঠী এবং স্বজনদের বিশেষ পীড়াপীড়িতে।

নেত্রকোনায় না এলেও নেত্রকোনাকে বোনের মতো ভালোবাসতেন কবি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে অনেকের কাছ থেকে নিতেন খোঁজখবর। নেত্রকোনার কেউ সুপার হোস্টেলে গিয়ে দেখা করলে আপ্লুত হতেন আবেগে। কবিতায় তিনি নেত্রকোনাকে স্মরণ করেছেন এভাবে- ‘কতো দিন তোমাকে দেখি না/ তুমি ভালো আছো?/ সুখে আছো?/ বোন নেত্রকোনা।–’

শুক্রবার দুপুরে কবির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পর নেত্রকোনার সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে এক ধরনের শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকেই দেখা গেছে কবির নানান স্মৃতি হাতড়াতে।

এমনই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী। যৌবনে কবির ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তিনি। বলেন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত কবির নিষিদ্ধ সম্পাদকীয় (এখন যৌবন যার) কবিতাটি বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের ব্যাপক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সাধারণ সম্পাদক কবি তানভীর জাহান চৌধুরী বলেন, হেলাল ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িত। তার মৃত্যুর খবরটি পাওয়ার পর থেকে সেসব স্মৃতি খুব মনে পড়ছে। জীবদ্দশায় কবি তার সঠিক সম্মান রাষ্ট্র বা সমাজ থেকে পাননি।

নেত্রকোনা উদীচীর স্থানীয় জেলা সংসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হেলাল হাফিজ বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবিদের মধ্যে অন্যতম। আর তার জন্ম আমাদের নেত্রকোনা জেলায়। এ কারণে আমরা নেত্রকোনাবাসী হিসেবে সবসময় গর্ব অনুভব করি। বিশ্বাস করি, অনন্য সৃষ্টিশৈলীর কারণে ভক্তদের মাঝে তিনি বহুকাল বেঁচে থাকবেন।

বাংলা৭১নিউজ/একে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com