কবি আল হাদীর নতুন কবিতার বই ‘সময়ের দূতাবাস’ এ বছরের শুরুর দিকে প্রাচ্য প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। মোট ৩৬০টি নতুন কবিতা বইটিতে স্থান পেয়েছে। বইটির রিভিউ লিখেছেন আবু নেওয়াজ বিল্টু (স্নাতক) বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রিভিউ লিখতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন- “মনকে দম নিয়ে চেপে রাখতে গিয়ে নিজেকে মৃত বানিয়ে ফেলেছি।”
এ রকম আরো অনেক লাইন পড়ে মনে হয়েছে কবি আল হাদী নিধির প্রতিনিধি। সাবলিল আঁধার, গাছের সবুজ, জল বাতাস, আলোর কণ্ঠস্বর। কবিতায় বর্ণিত কথা গুলো অবশ্যই soul speak এর ন্যায়। কাব্যকথা গুলো প্রমাণিত হয়ে যায়- কবির বিশ্বাস, জীবন যাপন, ইত্যাদি বিষয় গুলোর পালনেই একটা নিরন্তর সত্য অর্থাৎ নিখাদ প্রাকৃতিক ভাবধারা বেরিয়ে আসে, যার প্রতিফলন দেখা যায় কবির এই সময়ের দূতাবাস গ্রন্থের সাবলিল কাব্যের প্রাণধারায়।
সুক্রিয়াতেই যেন এই কাব্য প্রেরণার কেন্দ্র -বর্ষায় একদিন, ধারাল অক্ষর, অংশিজন, শেষমেশ মেঘ, কবীন্দ্র, নদীর ঢেউ, কবিতা গুলো পড়ে মনে হবে জীবন্ত ক্রিয়াশীল, পাঠ করলে মন চলন্ত, সংগ্রামী, শুভ চেতনার আবেগে ভর করে, পরিশেষে তা জাগ্রত করে ঘুমন্ত অন্ধকার মন আর মানব প্রাণকে।
আরো মনে হয়েছে তিনি কাব্য তৈরি করেছেন বৃষ্টির ঝরে পড়া ধুয়ে যাওয়া থেকে, নিজেকে অনুভব করতে চেয়েছেন সহজভাবে থেকে যাওয়া নিজের কাছে, জীবনকে দেখতে চেয়েছেন নতুন কোন বোঝা-পড়া থেকে। বুঝে দেখতে দেখতে চেয়েছেন না বোঝাগুলকেও যতখানি বেশি বোঝা যায় তার সমন্বয়ে। মোট তিনশত ষাটটি কবিতা আছে গ্রন্থটিতে যা বহুরকমের সমন্বয় সাধন করেছে বহু নতুন ভাবনারও।
কবিতা বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে অশোক তারানাথকে, অশোক তারানাথ ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার যিনি ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বিজয়ের পর ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১, ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে বঙ্গবন্ধুর বন্দি পরিবারকে উদ্ধার করেন।
এই কাব্যগন্থের আগে কবি আল হাদী ‘জীবের জড়তা’ ‘শ্রবণ অনুভূতি-১’, ‘শ্রবণ অনুভূতি-২’, ‘শ্রবণ অনুভূতি-৩’, ‘কাজিয়ার প্রস্তুতি’ নামে একটি নাটক; ‘প্রতিবেশী সময়’, ‘দ্বিতীয় সময়’, ‘অতিরিক্ত সময়’, ‘বস্তুত সময়’ ‘মেঘে ছড়ানো সময়’ এবং এই ‘সময়ের দূতাবাস’ -নামে ৬টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়। বইটি গ্রন্থমেলা ২০২১ ও রকমারি ডট কমে পাওয়া যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস