মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত রংপুরের বিপক্ষে এবার ঢাকা অলআউট ১১১ রানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে তিব্বতে নিহত বেড়ে ৯৫ স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সরাফতের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ ফরিদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনের কর্মসংস্থানের প্রস্তাব ধানমন্ডির কাকলি হাইস্কুল ও না.গঞ্জের ডিপিডিসি অফিসে দুদকের অভিযান দুই মাস পর চালু হলো পায়রার দ্বিতীয় ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন রয়-সাব্বির-মোসাদ্দেককে নিয়ে ব্যাটিংয়ে ঢাকা ক্যাপিটালস ভেঙেই গেল জেনিফার লোপেজের চতুর্থ সংসার জিয়া অরফানেজের সব অর্থ ব্যাংকে জমা আছে তিন রাতে ৩০ সেচযন্ত্র চুরি, হুমকিতে ৩০০ বিঘা জমির ফসল ফেলানী হত্যার ১৪ বছর: আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চান মা

কবি আল মাহমুদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

সমকালীন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি আল মাহমুদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের আজকের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।

১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইলের মোল্লাবাড়িতে জন্ম নেন এই কবি। যার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তার পিতার নাম আব্দুর রব মীর ও মা রৌশন আরা বেগম। তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দির সাধনা উচ্চ বিদ্যালয় এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তার লেখালেখি শুরু।

সংবাদপত্রে লেখালেখির এক পর্যায়ে ১৯৫৪ সালে আল মাহমুদ ঢাকায় আসেন। কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লিখতে থাকেন। পাশাপাশি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি নেন। পরে ১৯৫৫ সালে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দৈনিক গণকণ্ঠ প্রকাশিত হয় তারই সম্পাদনায়। এ সময় এক বছরের জন্য কারাবন্দি থাকতে হয় তাকে।

আল মাহমুদের প্রথম বই ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। দ্বিতীয় বই ‘কালের কলস’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে। এ দুটি কবিতার বইয়ের জন্য তিনি ১৯৬৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। মুক্তিযুদ্ধের পর গল্প লেখায় মনোযোগী হন আল মাহমুদ। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্পের বই ‘পানকৌড়ির রক্ত’ প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। পরে তিনি পরিচালক হন। ১৯৯৩ সালে তিনি অবসর নেন।

সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত ‘সমকাল’ এবং কলকাতার ‘নতুন সাহিত্য’, ‘চতুস্কোণ’, ‘ময়ূখ’, ‘কৃত্তিবাস’ ও ‘কবিতা’ পত্রিকায় লেখালেখির সুবাদে ঢাকা ও কলকাতার পাঠকদের কাছে তার নাম সুপরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘কবি ও কোলাহল’। 

তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে ‘অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না’, ‘মিথ্যাবাদী রাখাল’, ‘কাবিলের বোন’, ‘উপমহাদেশ’, ‘ডাহুকি’, ‘আগুনের মেয়ে’, ‘চতুরঙ্গ’ ইত্যাদি। ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ তার আত্মজীবনী গ্রন্থ। ছড়া রচনাতেও তিনি ছিলেন অতুলনীয়। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- সবকিছুই তার ছড়ায় উঠে এসেছে এবং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ঢেউ তুলছে।

আল মাহমুদ তার কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জয় বাংলা পুরস্কার, হুমায়ুন কবীর স্মৃতি পুরস্কার, জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার, কাজী মোতাহার হোসেন সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদ্‌দীন পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার, নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদকসহ বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com