বক্সিং ডে টেস্টের আলোচিত নাম স্যাম কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকনিষ্ঠ ওপেনার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তার। আর সেই তরুণকে ধাক্কা দিয়ে নজরটা নিজের দিকে টেনে এনেছেন ৩৬ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। শোনতে হচ্ছে কঠোর সমালোচনা। পরিস্থিতি এমন যে কোহলিকে সাসপেন্ডের শিকারও হতে হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসের ১০তম ওভার শেষের ঘটনা। প্রান্ত বদল করার জন্য হেঁটে আসছিলেন কোহলি। উল্টো দিক থেকে আসছিলেন কনস্টাসও। দু’জনের কাঁধে ধাক্কাধাক্কি হয়। কনস্টাস কিছু একটা বলে বসেন। কোহলিও এগিয়ে যান। পরে দুজনের বিবাদ থামান আম্পায়ার এবং আরেক অজি ওপেনার উসমান খাজা।
পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে কনস্টাসকে ধাক্কা দিয়েছেন কোহলি। যা নিয়ে ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হচ্ছে ব্যাপক সমালোচনা। যার প্রেক্ষিতেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে কোহলিকে নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, কোহলির ইচ্ছাকৃত ধাক্কার বিষয়টি প্রমাণ হলে, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি বিবেচনায় নিলে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে কোহলির ওপর।
আইসিসির ২.১২ ধারা অনুযায়ী মাঠে কোনও ক্রিকেটার, সহকারী স্টাফ, আম্পায়ার বা রেফারি, দর্শকদের সঙ্গে অনুপযুক্ত শারীরিক সংঘর্ষ ঘটালে শাস্তি হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে অপরাধটি ইচ্ছাকৃত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্ট কী ভাবে ঘটনাটি দেখছেন তার উপরে নির্ভর করছে কোহলি শাস্তি পাবেন কি না। যদি পাইক্রফ্টের মনে হয় বিরাট লেভেল টু পর্যায়ের ‘দোষ করেছেন’, তাহলে কোহলির খাতায় যোগ হতে পারে তিন থেকে চার ডিমেরিট পয়েন্ট।
আর সেক্ষেত্রে ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে আগামী ম্যাচে কোহলিকে দেখা যাবে না। তিনি সাসপেন্ড হবেন। তবে ম্যাচ রেফারি যদি বলেন, এটা লেভেল ওয়ান অপরাধ, তাহলে শুধু জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে কোহলিকে।
উল্লেখ্য, ২৪ মাসের মধ্যে ৪ বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট হয়ে গেলে একজন ক্রিকেটারকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে এমন ধাক্কার পর কোহলি যে শাস্তি পেতে যাচ্ছেন সেটা এক রকম নিশ্চিত-ই বলা চলে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ