১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের লঞ্চ চলাচল। তবে এ রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রী পার হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে এ চিত্র দেখা যায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) রাতে আটকে পড়া যানবাহনগুলো শুক্রবার সকাল থেকে পার হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাবাজার ঘাট সূত্র।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, আটকে পড়া প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসগুলো পার হয়ে যাওয়ার পর নৌরুটে কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন পার করা হবে না। এছাড়াও ঘাটের টার্মিনালে যাত্রীবাহী ৫০টি বাস রয়েছে, যেগুলো পার করা হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা যায়, পুরো ঘাট এলাকা অনেকটাই যাত্রীশূন্য। ঘাটের ৩নং টার্মিনালে বৃহস্পতিবার রাতে পার হতে না পারা প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও কিছু রোগী ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এছাড়া ছোট যানবাহন ও কিছু কিছু যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
যাত্রীরা জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা যেতে পারেননি। এজন্য শুক্রবার ভোরেই তারা চলে এসেছেন ঘাটে। একটি রোরো ফেরি ঘাটে নোঙর করার পর যানবাহনের পাশাপাশি ফেরিতে উঠেছেন। শিমুলিয়া ঘাটে নেমে ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকা পৌঁছাতে হবে। এছাড়া ঘাট এলাকায় কিছু পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা জানান, ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫০ যাত্রী টিকিট কেটে ফেরিতে উঠেছেন।
বরিশাল থেকে ঢাকাগামী যাত্রী শাহিন মিয়া বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যেতে হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধের থাকায় ভেঙে ভেঙে ঘাটে আসতে ৮০০ টাকা খরচ হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসর বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন পার করা হচ্ছে না। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ঘাটে আটকে পড়া কিছু প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস পার করা হচ্ছে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক পার করা হচ্ছে। এ নৌরুটে সকাল থেকে চারটি রোরোসহ মোট ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ঘাট এলাকায় ৩০০ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/বিএফ