বাংলা৭১নিউজ, বি এম হান্নান, চাঁদপুর প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরে ৩টি আসনে দু’জন করে প্রার্থী থাকায় কে হবেন নৌকার মাঝি সংশয় কাটেনি। আওয়ামী লীগের দু’জন হেভিওয়েট ব্যক্তি একাধিক প্রার্থীর গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন। দু’জন আওয়ামী রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে থাকলেও এখন কেউ নিশ্চিত করে নৌকার হাল ধরার কথা কর্মীদের কাছে প্রকাশ করতে পারছেন না।
হেভিওয়েট প্রার্থীরা হচ্ছেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া)আসনে সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ও চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে বর্তমান ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া)আসনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি সাথে রয়েছেন অপর মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন। চাঁদপুর-২ আসনে বর্তমান ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রমের দলীয় অপর প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন রুহুল। এ ছাড়া চাঁদপুর-৪ আসনে প্রার্থী দু জন হচ্ছেন, বতমান সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান।
নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন- এ আলোচনা এখন তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাইয়ে তিনটি আসনেই আওয়ামী লীগের দুজন করে প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। কজেই নৌকার বৈঠা এখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা হাতে। তিনি কার হাতে দিচ্ছেন এই বৈঠা, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থী প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত।
চাঁদপুরে মনোনয়ন বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থী তালিকায় ৫টি আসনের মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ২ জন করে ৬জন। বিএনপিতে পাঁচটিতেই ২-৩ জন করে মোট ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন । আবার বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্য জোটের হিসেব করলে এ সংখ্যা দাড়ায় ১৫ জনে। তাই চাঁদপুরে ৫টি আসনেই একক প্রার্থীর জন্যে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। দোটানায় থাকা ঐ সব প্রার্থীদের ঘুম হারাম। এখন তারা মনোনয়ন যুদ্ধে রয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস