সম্প্রতি ভারতের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রণৌত। এই সাংসদকে চড় মেরে ভারতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন কুলবিন্দর কৌর। কঙ্গনাকে চড় মারার খেসারত হিসেবে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এদিকে কুলবিন্দর কৌর সম্পর্কে মানুষের অপার কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পক্ষে-বিপক্ষে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, কুলবিন্দর পঞ্জাবের সুলতানপুর লোধির বাসিন্দা। ২০০৯ সালে সিআইএসএফ-এ যোগ দেন। তিন বছর ধরে তিনি চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্বে রয়েছেন। কুলবিন্দরের স্বামীও একই পেশায় রয়েছেন। তিনিও চণ্ডীগড় বিমানবন্দরেই কর্মরত। কুলবিন্দরের বয়স ৩৫ বছর। তার দুই সন্তান রয়েছে। কুলবিন্দরের ভাইয়ের নাম শের সিংহ। তিনি ‘কিসান মজদুর সংগ্রাম কমিটি’র সম্পাদক।
সিআইএসএফ কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য, কঙ্গনাকে ঘিরে এই ঘটনার আগ পর্যন্ত বাহিনীতে কুলবিন্দরকে কোনো তদন্তের মুখে পড়তে হয়নি। এই প্রথম তিনি বিতর্কে জড়ালেন। ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে কঙ্গনা চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে পরীক্ষার জন্য একটি ট্রে-তে কঙ্গনার ফোন রাখতে বলা হলে তিনি রাজি হননি। তখনই কুলবিন্দর সপাটে কঙ্গনাকে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কুলবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কঙ্গনা রণৌত। এরপরেই কুলবিন্দরকে আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং চাকরি থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
কিন্তু কেন কুলবিন্দর চড় মারলেন কঙ্গনাকে? সিআইএসএফের এই জওয়ান জানিয়েছেন— কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। বিমানবন্দরে কঙ্গনাকে দেখামাত্র তার রাগ হয় এবং অনেকটা ইচ্ছা করেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন তিনি।
এর আগে, ভারতে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা এক বার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকেরা। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষুব্ধ হন কুলবিন্দর। কুলবিন্দর জানান, তার মা-ওই কৃষক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
কুলবিন্দরের দাবি, টাকার বিনিময়ে কৃষকদের আন্দোলন করার কথা বলে তাদেরকে অপমান করেছেন কঙ্গনা। সেই কারণেই তিনি তাকে সামনে পেয়ে চড় মেরেছেন।
উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী থেকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন কঙ্গনা রণৌত। তার প্রতিপক্ষ ছিলেন হিমাচল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষনেতা বিক্রমাদিত্য সিংহ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ