বাংলা৭১নিউজ,(কক্সবাজার)প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। এছাড়া রামুতে মহাসড়কের পাশ থকে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার কম্বনিয়া এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
নিহতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মৃত সুলতান আহাম্মদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০) ও হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার আলী আহাম্মদের ছেলে আব্দুল জলিল (৩০)।
এ সময় গোলাগুলিতে এসআই মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাশ ও এমরান হোসেন নামে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মঙ্গলবার ভোরে খবর আসে হোয়াইক্যংয়ের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার ৯নং ওয়ার্ড কম্বনিয়া এলাকায় মাদক হাতবদল হচ্ছে। এ খবরে পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি আরও বলেন, উভয় পক্ষের গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই যুবককে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রনয় রুদ্র উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে পৌঁছার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, ইয়াবা ও গুলি জব্দ হয়েছে।
অপরদিকে, কক্সবাজার-চট্টগ্রম মহাসড়কের রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের রামু সরকারি কলেজ গেটের পশ্চিমে মজাহারুল উলুম মাদরাসা গেটে রাস্তার পাশে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ভোরে মরদেহটি দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
রামু থানার পুলিশ পরিদর্শক গনেশ চন্দ্র শীল মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। ঘটনাস্থল থেকে একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ওসি আবুল খায়ের।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে