সাখাওয়াত হোসেন বাদশা:
মানবদেহে যেমন হৃদয় থাকে, তেমনি গণমাধ্যমের হৃদয় হচ্ছে ‘রিপোর্টার’। রিপোর্টাররাই গণমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অথচ মিডিয়াতে এরা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। তাদের রুটিরুজি, দাবিদাওয়া আদায়ের কোন সিদ্ধান্তেই তাদেরকে যেমন রাখা হয়না; তেমনি রিপোর্টারদের প্রাণের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকেও পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।
ওয়েজ বোর্ড কমিটি’তে ডিআরইউ-কে অর্ন্তভুক্তির দাবিটি এই সংগঠণের সকল সদস্যর দীর্ঘদিনের। দাবিটি এ কারণে যে, সাংবাদিকদের এখন সবচেয়ে বড় ও ঐক্যবদ্ধ সংগঠনের নাম ডিআরইউ। এই সংগঠণের সদস্যদের রুটিরুজির দাবি, তাদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টি এখন আর এই সংগঠনের প্রতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে কোনভাবেই আদায় কিম্বা বাস্তবায়ন করা সম্ভবও নয়।
এক্ষেত্রে ডিআরইকে পাশ কাটানো মানেই রিপোর্টারদের অনেক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া। সংগঠনের ১৬শ’ সদস্যরই প্রত্যাশা, নবম ওয়েজ বোর্ড কমিটিতে সরকার ডিআরইউ’র একজন প্রতিনিধি রাখবে। বিষয়টি আমরা তথ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। আমাদের আশ্বাসও দেয়া হয়েছে তিনি এ বিষয়টি দেখবেন।
আমরা তথ্যমন্ত্রীকে আরও বলেছি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত রিপোর্টাররা ডিআরইউ’র সদস্য। ডিআরইউ এবারের নবম ওয়েজ বোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরতদের অর্ন্তভুক্ত দেখতে চায়। আমরা জানতে পেরেছি, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বন্ধুদের বেতন কাঠামো কী হবে- সে সংক্রান্ত কোন প্রস্তাবনাই এখন পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রনালয়ে জমা হয়নি। ডিআরইউ প্রত্যাশা করে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত বন্ধুদের বেতন কাঠামোর এই প্রস্তাবনা তথ্য মন্ত্রনালয় নিজ উদ্যোগেই সংগ্রহ করবে।
তথ্যমন্ত্রী এ ব্যপারেও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং দু’টি দাবিই লিখিতভাবে ডিডআরইউ’কে জমা দিতে বলেছেন। সু্প্রিয় সহকর্মী, ডিআরইউ কী এ দু’টি প্রস্তাব লিখিতভাবে তথ্যমন্ত্রনালয়ে পাঠাবে???
[লেখক: সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি]
[লেখাটি ফেসবুক থেকে নেয়া]
Facebook Comments