ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী প্লেন-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের দু’দিন যেতে না যেতেই যুক্তরাষ্ট্রে আবারও ঘটলো মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ফিলাডেলফিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় একটি মেডেভাক প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। প্লেনটিতে ছয়জন আরোহী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।
এফএএ জানিয়েছে, লিয়ারজেট ৫৫ মডেলের প্লেনটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। এটি মিসৌরির স্প্রিংফিল্ড-ব্র্যানসন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল।
জেট রেসকিউ নামে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কোম্পানি এই উড়োজাহাজটি পরিচালনা করছিল। কোম্পানিটি জানিয়েছে, প্লেনটিতে একজন শিশুরোগী, তার একজন অভিভাবক এবং চারজন ক্রু সদস্য ছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আরোহী জীবিত রয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি।
প্লেন চলাচলের তথ্য অনুযায়ী, উড্ডয়নের পর ১ হাজার ৬৫০ ফুট উচ্চতায় উঠেছিল প্লেনটি। কিন্তু এরপর আকস্মিকভাবে প্রতি মিনিটে ১১ হাজার ফুট গতিবেগে নিচে নামতে শুরু করে।
একজন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার প্লেনটির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বলেন, ‘মেডেভাক মেড সার্ভিস, উত্তর-পূর্ব টাওয়ার। আপনি কি ফ্রিকোয়েন্সিতে আছেন?’ কিন্তু কিছুক্ষণ পর কন্ট্রোলার ঘোষণা করেন, ‘আমরা একটি প্লেন হারিয়েছি।’
ফিলাডেলফিয়ার মেয়র শেরেল পার্কার জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটির আগুন আশপাশের কয়েকটি বাড়ি ও যানবাহনে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
ফিলাডেলফিয়ার দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুর্ঘটনার পর সাময়িকভাবে উত্তর-পূর্ব ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হলেও পরে তা আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি) এবং এফএএ এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফিলাডেলফিয়ার দুর্ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে, গত বুধবার ওয়াশিংটন ডিসির কাছে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি আঞ্চলিক প্লেন ও মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্লেনের ৬৪ জন যাত্রী এবং হেলিকপ্টারের তিনজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: সিএনএন
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ