বাংলা৭১নিউজ,(সিলেট)প্রতিনিধি: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরেক প্রসূতি নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে ওই নারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার বাড়ি সিলেট জেলায়।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন সুনামগঞ্জের এক প্রসূতি নারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত হন। এরপর হাসপাতালের ১৯ চিকিৎসকসহ ৪৪ স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এবার একই হাসপাতালের একই ওয়ার্ডের আরেকজন প্রসূতি করোনায় আক্রান্ত হলেন। এতে করে সিলেট বিভাগের প্রধানতম ৯০০ শয্যার সরকারি এই হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সিলেটের এক প্রসূতির নমুনা গত মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এদিকে নমুনা সংগ্রহের পরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ওই নারী। তার সন্ধান চলছে বলে হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষায় ১৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সিলেটে এ পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্তের ঘটনা।
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, বৃহস্পতিবার ওসমানী মেডিকেলের করোনা পরীক্ষাগারে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৬ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এনিয়ে সিলেট বিভাগে মোট ৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে এক চিকিৎসকসহ দুজন মারা গেছেন।
প্রসূতি নারী ছাড়াও বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে দুইজন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের একজনের বাড়ি সিলেট সদর ও অপরজনের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। বাকি দুইজনের সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি বলে তিনি জানান।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর