বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বর্তমানে পৃথিবী ব্যাপি একটি কমন স্বাস্থ্য সমস্যা। বেশিরভাগ মানুষই উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক করতে ওষুধ খেয়ে থাকে। ওষুধপাতির ঝামেলা এড়িয়ে নিম্নলিখিত ৮ টি ধাপে উচ্চ রক্তচাপ কমান-
১। আপনার দৈনন্দিন খাবারে লবনের মাত্রা কমিয়ে আনুন। লবনের সোডিয়ামের কাজ হলো নার্ভ এবং মাংশপেশিতে তড়িত প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা। বেশি লবন গ্রহনের ফলে সোডিয়ামের আধিক্যে শরীরে পানির মাত্রা বেড়ে যায়। যখন রক্তে তরলের আধিক্য হয় তখন দেহে রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখতে হৃদযন্ত্রকে দ্রুত পাম্প করতে হয়। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই লবন খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সচেতন হতে হবে। অনেকে বলে রান্না করা খাদ্যে লবন বেশি হলে সমস্যা নেই। খাওয়ার সময় কাঁচা লবন না খেলেই হয়। ধারনাটা ঠিক নয়। রান্না করা তরকারীর লবন বলেন আর কাঁচা লবনই বলেন মুদ্দাকথা- লবন কম খেতে হবে।
২। যে কোনো ধরনের খাবারেই লবন কম খেতে হবে অথবা অল্প লবন যুক্ত বা লবন বিহীন খাবার খেতে হবে হোক সেটা সস কিংবা আচার। মেডিকেল প্রফেশনালিস্টরা ‘লো সোডিয়াম ডায়েট’ অর্থাৎ দৈনিক ১১০০-১৫০০ মিলিগ্রাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
৩। চিনি জাতীয় খাবার কম খান কিংবা বর্জন করুন। ডিম, দুধ, মাংস বাদ দিয়ে সবজি খান।
৪। কফি খাবেন না। ক্যাফেইন জাতীয় কোনো খাবার খাবেন না। ক্যাফেইন নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে। ফলে হার্টবিট বেড়ে যায়। সাথে সাথে ব্লাড প্রেসারও। দিনে ১ থেকে ২ কাপ কফি পান করাটাও ঠিক হবে না।
৫। ফাইবার জাতীয় খাবার খাবেন। ফাইবার আপনার পরিপাক অন্ত্রকে পরিস্কার রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। বেশিরভাগ ফলমূলাদিতেই ফাইবার থাকে।
৬। কিছু কিছু ভেষজ উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। রসুন, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, অলিভ অয়েল, বাদাম ইত্যাদি কার্যকরী। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে ভালো কাজ হবে।
৭। ধুমপান, মদপান বর্জন করুন। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমান। পর্যাপ্ত বিশ্রাম করুন। মানুষিক টেনশন করবেন না। মেডিটেশন করলে অনেক রিলাক্স লাগবে। ব্লাডপ্রেসার বেড়ে গেলে গভীর ভাবে শাঁস নিন। আস্তে আস্তে শাঁস ছাড়ুন। এই কাজটি দৈনিক ৫-১৫ মিনিট যাবত করুন। এছাড়া কায়িক পরিশ্রম কিংবা শরীরচর্চা করুন নিয়মিত।
৮। রাতে ঘুমোতে যাবার পূর্বে ১৫ মিনিট যাবত কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। দেখা গেছে এতে কয়েকঘন্টা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। এমনকি সারারাতে।
বাংলা৭১নিউজ/এস এইস