বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বাগানের মাধ্যমে মশার খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে প্রাণীটির জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব বলে বলছেন গবেষকেরা। আর ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই বাগানই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে বান্দিয়াগ্রা জেলার ৯টি গ্রামে এই পরিকল্পনা নিয়ে পরীক্ষাও চালিয়েছে গবেষকদের একটি দল। খবর- বিবিসি
বিবিসির এক সংবাদের বলা হয়েছে, সাধারণ গুল্ম থেকে ফুল সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ফলে বয়স্ক, নারী ও ক্ষতিকারক পোকামাকড় যেগুলোর মাধ্যমে সাধারণত ম্যালেরিয়া ছাড়ায়-সেসব পোকামাকড় মেরে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফুলের মধু ছাড়া ‘নানী বা দাদী’ মশা ক্ষুধায় শেষ পর্যন্ত মারা যায়। ফলে বয়স্ক স্ত্রী মশাদের মারতে পারলে ম্যালেরিয়ার বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
মালির বিশেষজ্ঞরা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের সাহায্য নিয়ে উদ্যান সংক্রান্ত একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালান যার মাধ্যমে তারা দেখতে চেয়েছেন, গাছের ফুল সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে স্থানীয় মশাগুলো মেরে ফেলা সম্ভব হয় কি না। এ উপলক্ষে তারা ৯টি গ্রাম বেছে নেন। যার মধ্যে ছয়টি গ্রামে প্রচুর ফুল গাছ ও ফুলের ঝোপঝাড় এবং বাকি তিনটি গ্রামে তেমনভাবে ফুলের ঝোপঝাড় নেই।
গ্রামগুলোতে আলোর মাধ্যমে মশা ধরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বাগানের মাধ্যমে মশা সংকলন বন্ধ করা যায় কিনা সেটা দেখাও উদ্দেশ্য ছিল। ফলাফলে তারা দেখতে পান, গ্রামগুলো থেকে ফুল ছেঁটে ফেলার পর অন্তত ৬০ শতাংশ মশা কমে যায়।
অন্যদিকে, যে তিনটি গ্রামে একেবারেই ফুল ছিল না বা ভিন্ন উপায়ে বাগান করা হচ্ছিল সে গ্রামগুলো থেকে বয়স্ক স্ত্রী মশা একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে। ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত গবেষণায় বলা হচ্ছে, মশাগুলো ক্ষুধায় মারা গেছে।
এ বিষয়ে প্রফেসর জো লাইনস বলছেন, এর মাধ্যমে এটাই বুঝা যায় কোনো ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করে এ পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস