বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট হাসান খালিদ নিখোঁজ হয়েছেন। সন্ধান চেয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় জিডি করেছেন তার স্বজনরা।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন খোঁজ না পেয়ে রাতে থানায় জিডি করা হয়। ব্যবসায়ী হাসান খালিদ পরিবার নিয়ে ধানমন্ডির বাসায় থাকেন। সেই বাসার নিচ থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নাস্তা করার আগে ওষুধ খেতে হয় নিখোঁজ ব্যবসায়ী হাসান খালিদকে। নাস্তার টেবিলে বসে দেখেন ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের বলেন, নিচে ওষুধ আনতে যাচ্ছি। একথা বলেই খালিদ নিচে নেমে যান। আর বাসায় ফেরেননি তিনি।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে খালিদের মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই পরিচিত ও আত্মীয় স্বজনের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়। সারাদিন খোঁজ না পেয়ে রাতে থানায় জিডি করা হয় স্বজনদের পক্ষ থেকে।
তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সকালে নাস্তা করেই অফিসে যাওয়ার কথা ছিল হাসান খালিদের। সারাদিন অফিসে না যাওয়ায় উৎকণ্ঠা বেড়ে যায় তাদের।
এ বিষয়ে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (ডিবিসিসিআই) কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা জানান, আমাদের সভাপতি হাসান খালিদ একজন সদালপি নিরহংকারী মানুষ। তার কোন শত্রু আছে বলে আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। তার সঙ্গে ব্যবসায়ীক বা লেনদেন সংক্রান্ত কোন সমস্যাও হয়নি কারো সঙ্গে। হাসান খালিদের মতো ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ায় আমাদের উদ্বেগ বেড়ে গিয়েছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসান খালিদের নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসান খালেদের অফিস হচ্ছে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের হাসান হোল্ডিং ভবনের অষ্টম তলায়। কেমিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) তিনি। গত ২৫ বছর ধরে তিনি আমদানি-রপ্তানি ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসায় জড়িত।
ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ গঠনে উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনিও একজন। এছাড়াও খালেদ বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বাণিজ্যের উন্নয়নে ট্রেড ফ্যাসিলিটেটর হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস