ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সুলতান আলীর (২৪) মরদেহ দেশে আনা হয়েছে। ওমানের হাসপাতালে ৮ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তার মৃত্যু হয়। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় তার মরদেহ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ী গ্রামে এসে পৌঁছায়।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট ওমানের ইবরি এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় একটি প্রাইভেট কার সুলতান আলীকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতান আলী।
নিহত সুলতান আলীর বাবা মিঠু জানান, ছয় মাস আগে এনজিও থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছেলেকে ওমান পাঠান তিনি। কাজ শিখে না যাওয়ার কারণে শুরুতে কাজ পাননি। দুই মাস আগে কাজে যোগ দেন। গত রোববার প্রচণ্ড গরমে কাজের ফাঁকে কোমল পানীয় কিনতে ইবরি এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিলে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান তিনি। এরপর থেকে আইসিইউতে ছিলেন। সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখানে মারা যান সুলতান।
তিনি বলেন, ঋণের টাকার কিস্তি এবং ছেলের মরদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। দুই দেশের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আজ সকালে ছেলের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসে। বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে সুলতানকে দাফন করা হয়েছে। দ্রুত ছেলের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ায় দুই দেশের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুলতানের বাবা।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার বলেন, সুলতানের মরদেহ দেশে আনতে যাবতীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। তাছাড়া পরিবারটি ঋণগ্রস্ত। তাদেরকে সরকারিভাবে সহযোগিতার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ